পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পর্যটন মানেই সমুদ্র কেন্দ্রিক। জনপ্রিয় দিঘা তো আছেই। দিঘা বাদে অফবিট সমুদ্র সৈকত মানেই ছিল মন্দারমণি। এক সময় মন্দারমনিতে ছিল বিরাট বালিয়াড়ি, ঝাউবন, কেয়াবন, লাল কাঁকড়ার মৌতাত! কিন্তু পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তেই হারিয়ে গিয়েছে সে সব। এখন কংক্রিটের জঙ্গল। গড়ে উঠেছে একাধিক হোটেল সমুদ্র সৈকতের গা ঘেঁষে। আর তাতেই উঠেছে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ। মানা হয়নি কোস্টাল রেগুলেশন অ্যাক্ট।
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে জাতীয় পরিবেশ আদালত হোটেল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় প্রায় বছর দু’য়েক আগেই। ২০২৪ সালের নভেম্বরে নড়ে চড়ে বসেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে মন্দারমনির বেশ কয়েকটি মৌজা জুড়ে প্রায় ১৬৪ টি হোটেল ও রিসোর্ট ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন এমনটাই জানিয়েছে মন্দারমণি হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি।
আরও পড়ুনঃ ১৪০ নয়, অচিরেই গুঁড়িয়ে যাবে মন্দারমণি বিচ সংলগ্ন ১৬৪ হোটেল-রিসর্ট? বড়দিনের আগে হুলুস্থুল কাণ্ড
মন্দারমণি হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মীর মামরেজ আলি জানিয়েছেন, “জেলা প্রশাসন আদালত অবমাননার দায় থেকে বাঁচতেই ২০ নভেম্বরের মধ্যে হোটেল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। সোমবার ১৮ নভেম্বর নোটিশ দেওয়া হয়েছে হোটেলগুলিকে। মন্দারমনিতে মোট ২০০-ওর বেশি হোটেল রয়েছে। সরাসরি ভাবে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয় হোটেলগুলি থেকে। হোটেল ভাঙার নির্দেশ কার্যকর হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষের জীবন জীবিকার পথ বন্ধ হবে।”
জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে তৎপর হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। কোস্টাল রেগুলেশন অ্যাক্ট মানা হয়নি এ ধরনের হোটেল রিসোর্ট চিহ্নিত করে ২০ নভেম্বরের মধ্যে হোটেল কর্তৃপক্ষদের ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশ না মারলে জেলা প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এমনই নোটিশ পাঠানো হয়েছে হোটেলগুলিতে। বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা হোটেল বাঁচাতে মালিকেরা ইতিমধ্যেই কলকাতা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের এই নির্দেশিকায় কাজ হারাতে বসা হোটেলকর্মীরা রীতিমতো শঙ্কায়।
সৈকত শী