Mandarmani Hotels: ১৪০ নয়, অচিরেই গুঁড়িয়ে যাবে মন্দারমণি বিচ সংলগ্ন ১৬৪ হোটেল-রিসর্ট? বড়দিনের আগে হুলুস্থুল কাণ্ড

*শীতকালীন পর্যটন মরশুম শুরুর মুখেই মন্দারমণি জুড়ে হুলুস্থুল কাণ্ড প্রশাসনের নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করে। পর্যটন মানচিত্রে হারিয়ে যাবে মন্দারমনি এমনই মন্তব্য করলেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। প্রতিবেদনঃ  সৈকত শী। ফাইল ছবি।

*বাঙালির ঋতুচক্রে প্রবেশ করেছে শীত। শীত মানেই বাঙালির কাছে ঘুরে বেড়ানোর একটা মরশুম। চলমান শতাব্দীর প্রথম থেকেই দিঘার পাশাপাশি রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে স্থান পেয়েছে মন্দারমণি সমুদ্র সৈকত। ফাইল ছবি।

*তবে এবার প্রশাসনের নির্দেশিকায় বদলে যাবে মন্দারমণির চিত্র। আর তাতেই পর্যটকের মানচিত্র দেখে মন্দারমণি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করল হোটেল ব্যবসায়ীরা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়িছে মন্দারমণিতে পর্যটকদের আনাগোনা। ফাইল ছবি।

*পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় প্রতিনিয়ত মন্দারমণি এলাকাগুলো নিয়েছে গড়ে উঠছে হোটেল রিসর্ট হোমস্টে। কিন্তু অভিযোগ হোটেল রিসর্ট গড়ে ওঠার সময় কোস্টাল রেগুলেশন অ্যাক্ট মানা হয়নি। ফাইল ছবি।

*মন্দারমণিতে শেষ কয়েক বছরে গড়ে ওঠা বেশ কিছু হোটেল, রিসর্ট, দোকান বেআইনিভাবে গড়ে উঠেছে বলে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয়ই পরিবেশ আদালত। উপকূলবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মন্দারমণি সৈকতের ১৬৪টি হোটেলকে অবৈধ নির্মাণ বলে ঘোষণা করে সেগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। ফাইল ছবি।

*প্রায় দু'বছর আগের জাতীয় পরিবেশ আদালতের এই  নির্দেশ কার্যকর করতে তৎপর হয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে হোটেলগুলিকে নিজ নিজ উদ্যোগে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নচেৎ প্রশাসনিক উদ্যোগে উচ্ছেদ কার্যকর করা হবে। এই মর্মে জারি হওয়া নোটিস সোমবার হোটেলে হোটেলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ফাইল ছবি।

*দাদানপত্রবাড়, সোনামুই, সিলামপুর, মন্দারমণি ও দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর মৌজার মধ্যে অবস্থিত হোটেলগুলি। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। ফাইল ছবি।

*হোটেল ভাঙার নির্দেশ হাতে পাবার পরেই কলকাতা উচ্চ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছে মন্দারমণি হোটেল ব্যবসায়ীরা, এ বিষয়ে হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অশোক আদক জানান, প্রথমে ১৪০টি, দ্বিতীয় দফায় ২৪টি, মোট ১৬৪ হোটেল ও রিসর্টকে অবৈধভাবে নির্মাণের অভিযোগে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ফাইল ছবি।

*জাতীয় পরিবেশ আদালতের আদেশ কার্যকর করতে ২০ নভেম্বরের মধ্যে হোটেল ভেঙে ফেলতে হবে এমনই নোটিশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। জাতীয় পরিবেশ আদালতের আদেশ বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন কলকাতা উচ্চ আদালতের কাছে।' ফাইল ছবি।

*হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আরও জানিয়েছেন, মন্দারমণি থেকে এত সংখ্যক হোটেল ভাঙা পড়লে পর্যটন মানচিত্রে থেকে হারিয়ে মন্দারমনি। পর্যটন মরশুম শুরুর আগে প্রসাশনের এই নির্দেশ কার্যত মন্দারমনির চেনা ছবি বদলে দিয়েছে। ফাইল ছবি।