বুধবার থেকে খুলে গেল সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর দীর্ঘ ২ বছর পর স্কুল শুরুর প্রথমদিনেই বহরমপুর মহাকালী পাঠশালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা গেল এমনই ছবি। ছাত্রীদের উৎসাহিত করতেই এই উদ্যোগ। স্কুল খোলায় খুশি ছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষিক শিক্ষিকারা।
করোনার আবহে দীর্ঘ ২বছর বন্ধ থাকার পর রাজ্য সরকারের নির্দেশে বুধবার থেকে খুলে গেল সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলার প্রথম দিনেই ছাত্রীদের উৎসাহিত করতে অভিনব উদ্যোগ নিল বহরমপুর মহাকালী পাঠশালা প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছোট ছোট পড়ুয়াদের অভ্যর্থনা জানাতে স্কুলে এল গোপাল ভাঁড়। চকোলেটের সঙ্গে উপহারও তুলে দিল ছাত্রীদের হাতে।
advertisement
আরও পড়ুন- 'খুব চা খেতেন, ভালবাসতেন তেল কৈ', 'বাপ্পি দা'র প্রয়াণে মনখারাপ হোটেলকর্মীদের
ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে উৎসাহিত করল পড়ুয়াদের। ২ বছর পর স্কুলে এসে বন্ধুদের সঙ্গে, শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে দেখা করে খুশি সকল পড়ুয়ারা। বাড়িতে আবদ্ধ থেকে হাঁফিয়ে উঠেছিল পড়ুযারা{ স্কুল খোলায় অনাবিল আনন্দে মেতে উঠল সকল পড়ুয়ারা।
স্কুল খোলায় খুশি ছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষিক শিক্ষিকারা। ছাত্রী সিয়াক্ষী দাস বলে, করোনার জন্য বাড়িতেই অনলাইনে ক্লাস করতে ভালো লাগত না। স্কুলে এসে সব বন্ধুদের সাথে দেখা হল। খুব ভালো লাগছে। ছাত্রী শর্মিষ্ঠা দাস বলে, স্কুল খোলায় আমি খুব খুশি। আর ক্লাসে গোপাল ভাঁড় এসে আমাদের সাথে দেখা করল, কথা বলল। আমার খুব ভালো লাগছে। আমি চাই আমাদের স্কুল যেন আর বন্ধ না হোক।
আরও পড়ুন- ‘অন্ধজনের চোখে আলো দেন’-আজও এই বিশ্বাসে মাঘী পূর্ণিমায় বিশেষ পুজো হয় মন্দিরে
করোনা বিধি মেনে মাস্ক স্যানিটাইজার ব্যবহার করে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই ক্লাসে বসানো হয়েছে ছাত্রীদের। শিক্ষক বিনয় মন্ডল বলেন, দীর্ঘদিন পড়ুয়াদের কলরবে প্রান ফিরে পেয়েছে স্কুল। আমরা সকল শিক্ষক শিক্ষিকারা খুশি। ছাত্রীদের উৎসাহিত করতে দীর্ঘদিন স্কুলের সাথে যোগাযোগ না থাকায় পড়াশোনার প্রতি তাদের অনিহা দূর করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে ওদের মনটা ভালো হয়ে যায়। স্কুলের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে।