ণূলত এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে শিলাবতী নদীর বাম তীরে গার্ডওয়াল তৈরি এবং পাঁচটি স্লুইস গেট নির্মাণ। এই প্রকল্পের জন্য ৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গার্ডওয়ালটি ৫ ফুট উঁচু হবে এবং শিলাবতী নদীর প্লাবন থেকে ঘাটাল শহরকে রক্ষা করবে।
advertisement
এছাড়াও, দুটি পাম্প হাউস তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। এই পাম্প হাউসগুলি শিলাবতী নদীর জলস্তর নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন : কামারহাটিতে জন্ডিসের প্রকোপ, আক্রান্ত একাধিক! এলাকায় স্বাস্থ্য শিবির, মাঠে নেমেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর
রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের জন্য ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে এবং ২০২৭ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে ঘাটাল শহর এবং আশেপাশের এলাকাকে বন্যামুক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে। এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে ঘাটালবাসীর বহু দশকের অপেক্ষার অবসান ঘটবে। উল্লেখ্য, শিলাবতী নদীর জলস্ফীতির দরুণ বন্যার হাত থেকে বাঁচাতে মাস্টারপ্ল্যানের প্রথম দফায় ঘাটাল শহরে রিটেনিং ওয়াল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেচ দফতর। নদীপাড়ে কংক্রিটের তৈরি এই দেওয়াল মাটি বা অন্য পদার্থের পার্শ্বচাপ প্রতিরোধ করে।
আরও পড়ুন : অ্যাকাউন্টে ভর্তি টাকা, গলায় মোটা সোনার চেন! শ্যালককে দেখে হিংসা জামাইবাবুর! ব্যবসা হাতাতে হাড়হিম করা কাণ্ড
তার জন্য ঘাটাল শহরে শিলাবতী নদীর পশ্চিমপাড়ে চার কিলোমিটার রিটেনিং ওয়াল তৈরির জন্য নদীবাঁধ বরাবর প্রায় দুশো ফুট জমি অধিগ্রহণ করার কথাও ঘোষণা করেছিল সেচ দফতর। ফলে ঘাটাল শহরের বহু মানুষের মধ্যে জমি এবং বসতবাড়ি হারানোর আশঙ্কা দানা বাঁধতে থাকে। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে শুরু হয় জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল। শহরবাসীর যুক্তি ছিল, রিটেনিং ওয়াল তৈরির ফলে ঘাটাল শহরের বহু মানুষের বাড়ি ভেঙে দিতে হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বৈঠকের পরদিন থেকেই সেচমন্ত্রীর নির্দেশে শুরু হয় বিভিন্ন নদীবাঁধের ফিল্ড ভেরিফিকেশনের কাজ। এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিস্তারিত জানিয়েছিল ঘাটালের মহকুমা শাষক সুমন বিশ্বাস। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প, যা ঘাটাল শহর এবং আশেপাশের এলাকার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে। প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে ঘাটালবাসীর জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে এবং বন্যার ক্ষতি থেকে তাঁরা রক্ষা পাবেন।