প্রশাসনের তরফে ঘাটাল পুর শহর ও ঘাটাল ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে চলছে ত্রাণ বিলি থেকে চিকিৎসা। চলছে পানীয়জল সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ। তবে চলতি মরসুমের বর্ষায় এই নিয়ে কয়েকদিন অন্তর পাঁচ বার বন্যার কবলে ঘাটালবাসী। দেড় মাস হতে চলল এখনও জলমগ্ন ঘাটাল। স্বাভাবিকভাবেই প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি আরও বেড়েছে। তবে ঝুমি ও শিলাবতীর জলস্তর কমতে শুরু হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিয়ে পড়াশোনা, যোগ দেন স্বাধীনতা আন্দোলনে, মানুষের কাছে থেকে মানুষের জন্য লড়তেন
প্লাবিত বেশকিছু জায়গায় জল ধীরগতিতে কিছুটা কমেছে। এখনই ঘাটালের জলবন্দী দশা ঘোচার কোনও লক্ষ্মণ নেই। এই জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি কবে মিলবে, উত্তর নেই ঘাটালবাসীর। আগামী ৫ আগষ্ট আরামবাগ হয়ে ঘাটালে আসার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই কারণে তড়িঘড়ি সমস্ত ব্যাবস্থা শিথিল করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। ঘাটালের জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ ঘাটাল মাস্টার প্লান। ইতিমধ্যেই মাষ্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে মানস ভূঁইয়া পরিদর্শনে এসেও জানিয়েছেন ২০২৭ সালের মধ্যেই এই কাজ শেষ হয়ে যাবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যদিও ঘাটালবাসী তাকিয়ে আছেন মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কী বক্তব্য রাখেন এই বিষয়ে। তাঁরা আশা করছেন, তাদের যন্ত্রণার কথা তারা সরকারকে জানাতে পারবেন এই ভেবে। সবমিলিয়ে প্রশাসনিক স্তরে ব্যস্ততা মুখ্যমন্ত্রী আসার অপেক্ষায়। আর ঘাটালবাসীর অপেক্ষা, কবে জল কমে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে ঘাটাল।