আরও পড়ুনঃ পাগল হারেজকে জঙ্গি মানতে নারাজ পরিবার-সহ গোটা গ্রাম!
গঙ্গাসাগর হল পূণ্যভূমি এখানে সাগরমেলার সময় গোটা দেশ থেকে লোক এসে একত্রিত হয়। ব্রিজ তৈরি হলে সেই সমস্যা মিটবে। গঙ্গাসাগর মেলার সময়ে কচুবেড়িয়ায় অস্থায়ী ৪ নম্বর জেটি ঘাট তৈরি করা হয়। ওই জেটি ঘাটের উপর দিয়ে ব্রিজের ঢাল নেমে সোজা যাবে আশ্রম মোড় পর্যন্ত। অন্য দিকে, লট ৮ এর ৪ নম্বর স্থায়ী ভেসেল ঘাট দিয়ে ব্রিজের ঢাল গিয়ে পৌঁছবে গোলপার্ক পর্যন্ত।
advertisement
গঙ্গাসাগর সেতুর জন্য কাকদ্বীপ এবং সাগরের মোট ১২ একর জমি লাগবে। এর মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন জমি ও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি রয়েছে। এই সেতু নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের জন্য স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে ১০০ জনের মত স্থানীয় বাসিন্দা জমি দিতে রাজি হয়েছেন। এই সমস্ত বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যার জন্য খরচ পড়বে প্রায় ২০ কোটি টাকা। প্রশাসন সূত্রে খবর কচুবেড়িয়া এবং কালীনগরে সাড়ে ৪ একর জমির প্রয়োজন হবে। সেই জমির অধিকাংশই ফাঁকা রয়েছে। জমির মালিকরা এনওসি দিলেই জমি অধিগ্রহণ শুরু হবে। সাগরে ৪ একর জমির দাম পড়বে ১০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, কাকদ্বীপ লট ৮ আশ্রম মোড়ে ৭.৭৫ একর জমির দাম পড়বে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা। যেহেতু মুড়িগঙ্গা দিয়ে অনেক জাহাজ চলাচল করে তাই নদীর জলস্তর থেকে ১২ থেকে ১৩ ফুট উচ্চতায় সেতুটি নির্মাণ করা হবে। আগে এই সেতুর নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছিল ১২০০ কোটি টাকা। তবে বর্তমান হিসেব অনুযায়ী, এর খরচ হবে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা। সেতু নিয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। সেতুর কাজ একবার শুরু হলে ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপর থেকে সাগরে যাতায়াত আরও সুবিধাজনক হয়ে উঠবে।
নবাব মল্লিক