গাছে টাঙানোর আগে ওই হাঁড়িতে দেওয়া হচ্ছে মাটির প্রলেপ, ভেতরে রাখা হচ্ছে ঘাস, শুকনো পাতা ও গাছের সরু ডাল। যেখানে বাস করার মত অনুকূল পরিবেশ পাবে পাখিরা। এই কদিনে প্রায় ৮০ টি বাসা তৈরি করে ফেলেছে বন দফতর। আরও প্রায় ৩০০টির মত বাসা তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের ডিএফও শেখ ফরিদ জে জানিয়েছেন এটি পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : বাংলার গর্ব…! সুন্দরবনের মহিলাদের হাতে তৈরি মধু চলল আমেরিকা! বিদেশের বাজার কাঁপাবে ‘বাহা মধু’
ফল ভাল হলে আগামী দিনে অন্য রেঞ্জেও একই উদ্যোগ নেওয়া হবে। গঙ্গাজলঘাটি রেঞ্জের তরফ থেকে ব্যক্তিগতভাবে জানানো হয়েছে এই উদ্যোগ যদি অন্যান্য রেঞ্জে নেওয়া হয়. তাহলে শীতে পাখিগুলি একটু উষ্ণতা পাবে। বাসার ভিতরে ডিম পাড়তে পারবে এবং বাচ্চা হবে। বাঁকুড়া জেলায় প্রতিবছর যথেষ্ট ঠান্ডা পড়ে। এই ঠান্ডায় এক ধাক্কায় বেশ কিছু পাখি মারা যায়। সেই পাখিগুলির কথা ভেবেই করা যেতে পারে এমন মাটির হাঁড়ির বাসা। খুব একটা বেশি খরচ নেই।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মাটির হাড়ি এবং তার মধ্যে মাটির প্রলেপ, ভিতরে ঘাস এবং কিছু সরু গাছের ডাল। তারপর গাছে টাঙিয়ে দিলেই হবে। ব্যক্তিগত উদ্যোগেও করতে পারেন। প্রথমে মাটির হাঁড়ি তৈরি করে, তাকে ভালো করে মাটির প্রলেপ দেওয়া হচ্ছে। মানুষের হাতের গন্ধ যাতে না থাকে তার জন্য গাছের রস লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে হাড়িতে। হাঁড়ির ভিতরে রয়েছে দুটি ছিদ্র যাতে জল বেরিয়ে যেতে পারে। এভাবেই সাবধানতা অবলম্বন করে পাখির কৃত্রিম বাসা বানাচ্ছে গঙ্গাজলঘাটি রেঞ্জ।





