TRENDING:

গণেশের মাথার মুকুট উধাও! 'বিরাট' বদল শিল্পাঞ্চলের কুমোরটুলিতে, হঠাৎ কী 'ভূত' চাপল মৃৎশিল্পীদের মাথায়?

Last Updated:

গণেশের মাথার মুকুটের বদলে বসল রাজকীয় পাগড়ি, কেন এমন পরিবর্তন জানেন?

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান, দীপিকা সরকার: গণেশের মাথার মুকুট উধাও। শিল্পাঞ্চলে হঠাৎ হলটা কী? দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে পারিবারিক থেকে বারোয়ারী গণেশ পুজোর রমরমা দিন দিন হু হু করে বাড়ছে এমনটাই দাবি মৃৎশিল্পীদের। শিল্প শহরে কর্মের দেবতা বিশ্বকর্মার সঙ্গে এবার টেক্কা দিচ্ছে সিদ্ধিদাতা গণেশ। তবে গণেশের মাথায় নেই বাংলার মুকুটের দেখা। গণেশের মাথার মুকুট সরিয়ে জায়গা দখল করল রাজকীয় পাগড়ি। এমনই চিত্র ফুটে উঠেছে দুর্গাপুরের কুমোরটুলিতে। গণেশের মূর্তিকে পাগড়ি পরানোর প্রথাটি মূলত গুজরাট অঞ্চলে প্রচলিত। গণেশ চতুর্থীর সময় সেখানে গণেশের মূর্তির জন্য বিশ্বের বৃহত্তম পাগড়িও তৈরি করা হয়। এছাড়া মহারাষ্ট্রেও গণেশ মূর্তিকে পাগড়ি-সহ রাজকীয় সাজে সজ্জিত করা হয়। তবে সেই প্রথা এখন দুর্গাপুরেও প্রচলিত হচ্ছে। বাংলার গণেশের রূপে ব্যপক পরিবর্তন এসেছে দাবি মৃৎশিল্পীদের।
advertisement

আরও পড়ুনঃ পরিত্যক্ত বাড়ির শৌচাগার থেকে ৩ ড্রাম তাজা বোমা উদ্ধার, ছাব্বিশের ভোটের আগে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা! কালিয়াচকে আতঙ্ক

মৃৎশিল্পীদের আরও দাবি, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে পারিবারিক থেকে বারোয়ারী গণেশ পুজোর ধুম কয়েক বছরে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে। দুর্গাপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল হওয়ায় কর্মের দেবতা বিশ্বকর্মার আরাধনায় মেতে ওঠেন শিল্পাঞ্চলবাসী। কলকারখানায় ঐতিহ্যবাহী বিশ্বকর্মা পুজো আজও পালিত হয় মহাসমারহে। কিন্তু হঠাৎই গণেশ পুজোর আরাধনা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এখানে। তাই দুর্গাপুজো ও বিশ্বকর্মা পুজোর আগে গণেশ তৈরি করতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। ছাঁচের তৈরি গণেশ হোক বা কাঁচা মাটির, সর্বত্রই রাজ করছে রঙ-বেরঙের পাগড়ি। বাংলার দেবদেবীর মাথায় চিরাচরিত মুকুট সকলেই দেখতে অভ্যস্ত। কিন্তু হঠাৎ গণেশ পুজো বাড়ার পাশাপাশি পরিবর্তন এল গণেশের মূর্তিতে।

advertisement

আরও পড়ুনঃ শুধু মানুষ নয়, এবার পাখিরাও থাকবে দোতলা বাড়িতে! ‘বার্ড হাউস’ বানিয়ে হাজার হাজার টাকা রোজগার

View More

মৃৎশিল্পী অভিজৎ পাল জানান, ভক্তদের চাহিদা মতোই এবার গণেশের মাথায় পাগড়ি করা হয়েছে।বিগত কয়েক বছর ধরে শিল্পাঞ্চলে গণেশ পুজোর ঝোঁক হু হু করে বেড়ে চলেছে। গণেশের সাজসজ্জাতেও পরিবর্তন এসেছে। গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের মতো গণেশের মাথায় পাগড়ির চাহিদা বেশি। এখন আর চিরাচরিত মুকুট ব্যবহার হচ্ছেনা গণেশের মাথায়। সবার পছন্দ গণেশের মাথায় বড় বড় রঙবেরঙের পাগড়ি। ১২ ইঞ্চি  থেকে ১২ ফুট উচ্চতার গণেশ তৈরি হচ্ছে দুর্গাপুরের কুমোরটুলিতে। প্রায় ৫০০ টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকার গণেশ তৈরির অর্ডার মিলেছে এবার।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

দুর্গাপুরের পুরোহিত মিলন চক্রবর্তী ও অসিত চক্রবর্তী জানান, মহারাষ্ট্রের অবাঙালিদের গণেশ পুজো প্রধান উৎসব। গণেশের জন্মদিনে অর্থাৎ গণেশ চতুর্থীতে ধুমধামের সহিত পুজো হয়। সেখানে ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি পড়ানো হয় জ্ঞান ও সমৃদ্ধির দেবতাকে। পাগড়ি বিভিন্ন রূপে এবং বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। এটি কেবল একটি পোশাক নয়, বরং সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং মর্যাদার প্রতীক। যদিও বাংলায় গণেশের মূর্তিতে কেবল মুকুট ব্যবহার প্রচলিত ছিল। যুগের সঙ্গে মুকুটের পরিবর্তন হয়ে পাগড়ির প্রচলন শুরু হয়েছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
গণেশের মাথার মুকুট উধাও! 'বিরাট' বদল শিল্পাঞ্চলের কুমোরটুলিতে, হঠাৎ কী 'ভূত' চাপল মৃৎশিল্পীদের মাথায়?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল