হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম স্বাস্থ্য জেলায় একমাত্র সদর হাসপাতালেই ডায়ালিসিস পরিষেবা পাওয়া যায়। বছর খানেক আগে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে পাঁচ শয্যাবিশিষ্ট একটি ইউনিট চালু হয়েছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দু’টি শয্যা অকেজো হয়ে পড়ে এবং পরিষেবা ব্যাহত হয়। বাধ্য হয়ে বহু রোগীকে অন্য জেলায় যেতে হচ্ছিল ডায়ালিসিস করাতে। পরিদর্শনে আসা নেফ্রোলজিস্ট অম্লানকান্তি বিশ্বাস বলেন, “আমরা ইন্সপেকশনের জন্য এসেছি। আগে এখানে ৫ বেডের ইউনিট চলছিল।
advertisement
আরও পড়ুন : সাইকেলে হাওড়া থেকে পুরি যাত্রা দুই বন্ধুর, দীর্ঘ পথে ছড়িয়ে দেবেন পরিবেশ সচেতনতার বার্তা
তিনি আরও বলেন , রোগীদের আরও ভাল পরিষেবা দিতে সেটিকে ১০ বেডে উন্নীত করা হচ্ছে। ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রায় প্রস্তুত, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ইউনিট চালু করার চেষ্টা করছি।” হাসপাতালের সুপার প্রকাশচন্দ্র বাগ জানান, “প্রতিনিধি দলের সবুজ সংকেতের পরই মেশিনগুলি চালু করা যাবে। এখানে ডায়ালিসিস পরিষেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। প্রতিদিন প্রায় ১০-১২ জন রোগীর ডায়ালিসিস করা হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নতুন ১০ শয্যা চালু হলে দিনে ৪০-৫০ জন পর্যন্ত রোগী এই সুবিধা পাবেন।” জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, নতুন ইউনিটে বসানো হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি। পিপিপি মডেলেই এই পরিষেবা চালানো হবে, যাতে রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত হয়। সিউড়ি সদর হাসপাতালের এই নতুন উদ্যোগে জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। তাদের আশা, নতুন ইউনিট চালু হলে বীরভূম জেলার ডায়ালিসিস রোগীদের আর দূরদূরান্তে ছুটতে হবে না।





