এই সময় চাষিদের ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে। বেশিরভাগ চাষের জমিতেই এখন ধান গাছের চারা রোপণের কাজ চলছে। আর তা করতে গিয়েই বজ্রাঘাতে একের পর এক কৃষকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা ও নারায়ণগড় এই দুই ব্লকের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
advertisement
আরও পড়ুন: ভরা শ্রাবণেও নেই অঝোর ধারা, বৃষ্টির অভাবে পাট চাষিদের মাথায় হাত
মৌসুমী বায়ুর প্রভাব এবং নিম্নচাপের কারণে জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বুধবার দুপুর গড়াতে জেলার বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় বৃষ্টি হয়। সঙ্গে মুহুর্মুহু বাজ পড়ছিল। সেই সময় মাঠে চাষের কাজ করতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় বেলদা থানার রসুলপুরের সমীর হাঁসদা (৫১) ও শকুন্তলা মান্ডির (২৪)। অপরদিকে নারায়ণগড় থানার যমুনা এলাকার বাসিন্দা চন্দ্রমোহন শিট (৬৬) ও কেশিয়াড়ি থানার শহরিয়া এলাকার পরেশ মালিকের’ও (৬৬) মৃত্যু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রসুলপুরে কয়েকজন মাঠে কাজ করছিলেন। হঠাৎই বাজ পড়লে সকলেই কম-বেশি আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে বেলদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানেই দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা। অপরদিকে কেশিয়াড়ির শহরিয়া এলাকায় মাঠে করার সময় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় একজনের। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মাঠে তিনজন কাজ করছিলেন। সেই সময়ই বাজ পড়ে আহত হন দুজন। কেশিয়াড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। নারায়ণগড়ের ঘটনায় এক বৃদ্ধ মাঠে কাজ করার সময় বজ্রাহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
রঞ্জন চন্দ