খেজুরি ও নন্দীগ্রাম উপকূল এলাকায় সমুদ্রে মাঝে মধ্যে কুমিরের দেখা মিলছে। সেই কারণে এলাকাবাসীকে সতর্ক করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বন দপ্তর। মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী অঞ্চল খেজুরি ও নন্দীগ্রামে কুমিরের দেখা মিলছে। উপকূলবর্তী অঞ্চলে বহু মানুষ মাছ ধরার জন্য নদীতে বা খাঁড়িতে জাল পাতে। তাঁদের কুমির নিয়ে সতর্ক করতে আসরে নেমেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বন দপ্তর।উপকূল পরিবেশ না থাকায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নদী-নালা বিশিষ্ট হওয়া সত্বেও কুমির বা অন্যান্য জলজ প্রাণীর দেখা মেলে না। কিন্তু সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কুমিরের দেখা মিলেছে।
advertisement
আরও পড়ুন : ‘‘আমরা ছুটি কাটাতে যাচ্ছি, আবার ফিরে আসব...’’, মায়ের সান্ত্বনায় থামছে না শরণার্থী শিশুদের কান্না
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম এলাকায় একটি খালে কুমির মৎস্যজীবীদের জালে আটকে পড়ে। কুমিরটির দৈর্ঘ্য প্রায় পাঁচ ফুট দু ইঞ্চি। এর আগেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিভিন্ন নদীতে কুমিরের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। কিন্তু সে গুলি ছিল কুমিরছানা। মাঝবয়সি কুমিরের দেখা মেলায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বনদপ্তর নড়েচড়ে বসেছে।
আরও পড়ুন : গরমে চুলকানি ও ত্বকের অন্য সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রইল ঘরোয়া টোটকা
আরও পড়ুন : মহিলাদের সুন্দর সাজের গোপন রহস্য সঠিক অন্তর্বাস, তাই কেনার আগে এই বিষয় গুলি মনে রাখুন
বন্য জীবজন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নদী-নালা খাল-বিল বিশিষ্ট। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকায় কুমিরের সংখ্যা বেড়েছে। তাই খাবার বা উপকূল পরিবেশের খোঁজে নদীতে ভেসে কুমিরের চলে আসাটা অসম্ভব নয়। নতুন বাসস্থানের খোঁজে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় কুমিরের দেখা পাওয়াটা অসম্ভব নয়। নন্দীগ্রামে কুমিরের দেখা পাওয়াটা তারই অংশ। বনদপ্তর এর এক কর্মী জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খাল-বিলে কুমিরের দেখা পাওয়া যেমন একদিকে ভাল। আবার এর থেকে সাধারণ মানুষদের সতর্ক থাকতে হবে।
( প্রতিবেদন:সৈকত শী)