আরও পড়ুন: ম্যানগ্রোভের সঙ্গে রঙের উৎসব, হোলির আনন্দে মাতল সুন্দরবনবাসী
সময়টা ১৮২০ সাল। জয়নগরে তখন বিখ্যাত সাত জমিদারি পরিবারের বাস। ব্যবসা, জমি জমা ইত্যাদি সংক্রান্ত বিষয়ে খুঁটিনাটি অশান্তি লেগেই থাকতো এদের মধ্যে। এরকম সময় এই সাত পরিবারের জমিদারেরা ঠিক করেন মিলন উৎসব করার। সমস্ত বিবাদ ভুলে দোল উপলক্ষ্যে তারা মিলনের রঙে মেতে ওঠেন। এর আগে অবশ্য এই সাত জমিদারির মধ্যে যা কিছু নিয়েই চলত অশান্তি। ক্ষমতার লড়াই, দেখনদারির লড়াই। ব্রিটিশ আমলে এই জমিদারদের মধ্যে ঝগড়া গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। যদিও বিচারক নির্দেশ দেন, ঝগড়া নিজেদের মধ্যেই মিটিয়ে নিতে হবে। সেখান থেকেই শুরু এই মিলনের দোল উৎসবের।
advertisement
আরও পড়ুন: নিয়মের বেড়াজাল ভেঙে সীমান্তে রঙের উৎসবে মাতল খুদেরা
ঠিক যেমন সতীনে-সতীনে ঝগড়া লেগে থাকে, তেমনই এই জমিদারদের মধ্যেও ঝগড়া লেগে থাকত সেই থেকে এই দোল উৎসবের নামকরণ করা হয় ‘সাত সতীনের দোল’ নামে। এই সাতটি দোল-মঞ্চ ছিল মোদক পরিবার, আচার্য পরিবার, মুহুরী পরিবার, বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার, চক্রবর্তী পরিবার, চৌধুরী পরিবার, ও বোস পরিবার-এর। যদিও বর্তমানে সেই সাত পরিবার থেকে কোন পাঁচ পরিবারে এসে ঠেকেছে এই উৎসবের রেওয়াজ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
প্রতিবছর দোলের আগের রাতে চাঁচর উৎসবের মাধ্যমেই শুরু হয় দোল।
সুমন সাহা