যদিও বন্যপ্রাণ প্রেমীরা মনে করছেন আবারও কি ঘটতে পারে ২০১৮ সেই ঘটনা? বন দফতরের পাতা ফাঁদে পা না দিয়ে প্রায় দেড় মাস পর পশ্চিম মেদিনীপুরের বাঘঘরার জঙ্গলে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। তবে কি এবারও কোনও ক্ষতি হতে পারে?
আরও পড়ুনঃ বাঁকুড়ায় পুরুষ লেপার্ডের দেহ উদ্ধার! তবে কি সঙ্গিনী ঘুরছে জঙ্গলে? আশঙ্কায় বন দফতরের মাইকিং
advertisement
শুক্রবার সকাল থেকে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহ-জয়রামবাটি সড়কে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় একটি পূর্ণবয়স্ক লেপার্ডকে। যা নিয়ে রীতিমত আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১৫-১৬ কিলোমিটার দূরে গড়বেতার কৃষি জমিতেও অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য দেখা দেয়। যদিও এরপর জেলাবাসীর মনে ২০১৮-এর স্মৃতি ঘুরতে থাকে। কী ঘটেছিল ২০১৮ এর মার্চ মাসে?
কখনও পশ্চিম মেদিনীপুর, কখনও বাঁকুড়া আবার কখনও ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে দেখা মেলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। এরপর কখনও ছাগল, কখনও বাঘের প্রিয় খাবার নিয়ে ফাঁদ পাতে বন দফতর। যদিও বন দফতরের পাতা সেই ফাঁদে পা দেয়নি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। এপ্রিলে জঙ্গলের মধ্যে সেই রয়্যাল বেঙ্গলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
বন বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, আরও লেপার্ড রয়েছে কিনা তার দিকে নজরদারি চালানো হচ্ছে। ক্যামেরা লাগানোর প্রক্রিয়া চলছে। মানুষকে সাবধান ও সচেতন করা হবে। যদিও এ নিয়ে বেশ চিন্তায় পরিবেশপ্রেমীরাও। তবে ২০২৪ সালের শেষের দিকে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার বিভিন্ন জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়ায় একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘ। যদিও পরে তাকে ধরে ফেলে বনকর্মীরা। আবারও শীতের শুরুতেই বাঘের আতঙ্ক পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে। অন্যদিকে লেপার্ডের মৃত্যুর পর ধরে নেওয়া হয় জঙ্গলমহলের বেশ কিছু গভীর জঙ্গলে অস্তিত্ব রয়েছে লেপার্ড, হায়নার মতো প্রাণীদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পশুপ্রেমী রাকেশ সিংহ দেব বলেন, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলে লেপার্ড, চিতাবাঘের জন্য সুগম আস্তানা রয়েছে। এখানে থাকতেও পারে। বন বিভাগের তরফে বেশি নজরদারি চালাতে হবে। যদি জঙ্গলে অস্তিত্ব থাকে লেপার্ডের, তবে যেকোনও সময় জঙ্গলের মধ্য থেকে লোকালয়ে এলে আবার কী প্রাণহানি ঘটবে? ফিরে আসবে ২০১৮ সালের স্মৃতি? এ নিয়ে রাকেশের সংযোজন, বন দফতরকে সজাগ থাকতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। বাড়তি ব্যবস্থা নিতে হবে সকলকে। তবে ২০১৮ সালের স্মৃতি ফিরবে না।
যদিও বনবিভাগের তরফে শুক্রবার জানানো হয়েছিল, অজানা জন্তুর পায়ের ছাপের নমুনা পাঠানো হয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। জঙ্গলের মধ্যে আর কোনও লেপার্ড বা চিতা বাঘের মতো জন্তু রয়েছে কিনা তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হবে। তবে আর কেউ চায় না ২০১৮ সালের মর্মান্তিক স্মৃতি ফিরে আসুক। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, বন্য প্রাণীদের সহযোগিতা এবং লেপার্ডের মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে বনবিভাগ।






