স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, জল জমে যাওয়ায় পাট কাটা সম্ভব হচ্ছে না, উপরন্তু শ্রমিকও মিলছে না। ফলে সঠিক সময়ে পাট কাটতে না পারলে পাটের গুণমান নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা প্রহ্লাদ ঘোষ বলেন, অনেক জল বেড়েছে। এভাবে বাড়তে থাকলে বাড়ির ভিতর জল ঢুকে যাবে। আর এখানকার পাট চাষে চরম ক্ষতি হবে। পাট কাটার জন্য লোক পাওয়া যাচ্ছেনা। পাট জমি সব জলের তলায়। তবে শুধু পাট নয়, সমানভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন হালতাচড়া এলাকার ফুল চাষিরাও। এখানে প্রচুর পরিমাণে গাঁদা ফুলের চাষ হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : সদ্য পেয়েছে জিআই ট্যাগ! পুজোয় কিনবেন নাকি কোরিয়াল শাড়ি? আপনাদের আশায় বসে তাঁতিরা
বর্তমানে সেই সমস্ত জমিতে জল ঢুকে পড়ায় ফুলগাছ অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু চাষির পুজোর বাজার ধরার স্বপ্ন বর্তমানে ভেঙে যেতে বসেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় , হালতাচড়া এলাকা থেকে ফুল রাজ্যের বাইরে অন্যান্য রাজ্যেও পাঠানো হয়। কিন্তু এবারের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ফুলচাষিদের সামনে এক অনিশ্চয়তার পরিস্থিতি তৈরি করেছে। অনেকেই বলছেন, যদি কয়েকদিনের মধ্যে জল নামানো না যায়, তবে তাদের মরশুমি রোজগারে বড় ধাক্কা আসবে। ফুল চাষি সহদেব দফাদার বলেন, এই জমা জল নেমে গেলেই রোদে গাছ শুকিয়ে মরে যাবে। সামনে মনসা, বিশ্বকর্মা পুজো এবং দুর্গা পুজো উপলক্ষ্যে পর পর ফুল চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু মনে হচ্ছে গাছ মরে যাবে সব।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এছাড়া এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থাও যেন ভেঙে পড়েছে। ঝাউডাঙা থেকে নদীয়া জেলার সংযোগকারী প্রধান সড়কটিও এখন জলমগ্ন। সেই পথে মানুষজন নৌকা করে যাতায়াত করছেন। প্রশাসনের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত বড় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়নি। ফলে সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও চাষিরা। সবমিলিয়ে নির্দিষ্ট এলাকার কৃষিজীবী মানুষের জীবন ও জীবিকা বর্তমানে চরম সংকটে।