শুধু বনগাঁ পুরসভা এলাকাতেই নয়, অতিবৃষ্টির ফলে গাইঘাটা এবং বাগদা ব্লকেও চাষের জমিতে জল ঢুকে পড়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই বনগাঁ পুরসভার জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি জলবন্দি বাসিন্দাদের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়ার তদারকি করছেন পুরপ্রধান গোপাল শেঠ সহ পুরকর্মীরা। বনগাঁ পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪টি ওয়ার্ডই বর্তমানে জলের তলায়। বাকি আটটি ওয়ার্ডেও আংশিক জল জমে আছে।
advertisement
আরও পড়ুন: রোদের আশায় হাপিত্যেশ প্রতিমা শিল্পীদের
মাঝে কয়েকটা দিন বৃষ্টি না হওয়ায় জল কিছুটা নেমেছিল। কিন্তু নতুন করে নিম্নচাপ শুরু হওয়ায় আশঙ্কা আরও বেড়েছে। আগামীতে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে অনেকেরই আশঙ্কা। ফলে আতঙ্কিত এলাকার মানুষজন। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে ফের আরেকটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। যার ফলে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে আবারও বৃষ্টি শুরু হতে পারে।
এদিকে বনগাঁ পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। তবে বাসিন্দাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে পুর প্রশাসন। পুরপ্রধানের নেতৃত্বে কাউন্সিলররা জলবন্দি মানুষদের কাছে চাল, ডাল, আলু, সয়াবিন, পানীয় জল ও ওষুধপত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন। জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের পুরসভা পরিচালিত ত্রাণ শিবিরে উঠে আসার পরামর্শ । বনগাঁ পুর এলাকায় ইতিমধ্যেই ১৪টি ত্রাণ শিবির চালু করা হয়েছে। সেখানে ইতিমধ্যেই প্রায় ৬০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। শিবিরে আশ্রিত মানুষদের খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে পুরসভার পক্ষ থেকে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই প্রসঙ্গে পুরপ্রধান গোপাল শেঠ বলেন, ইছামতি সংস্কার না হওয়ায় পুরসভার ১৪টি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জলবন্দি হয়েও যারা ঘরবাড়ি ছেড়ে আসতে চাইছেন না, তাঁদের কাছে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে ত্রাণ শিবিরে আশ্রিতদের ফাঁকা বাড়িতে রাতে পাহারার ব্যবস্থা করেছে পুরসভা।