কাটোয়া শহরের ষ্টেশন বাজার রোডে নজরুল মূর্তির কাছে এই স্টলটি। যার নাম গোকুল চাট সেন্টার। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ছোট্ট একটা ভ্যানের মধ্যে স্টল খুলে ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি। এই দোকানে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক চাট। দই বড়া, পাপড়ি চাট, আলু টিক্কি চাট, সিঙারা চাট বা দই পুরি , সেউ পুরি, ভেলপুরির মতো নান রকমের জিভে জল আনা খাবার।
advertisement
আরও পড়ুন: মাংসকেও হার মানাবে! অল্প উপকরণেই বানিয়ে ফেলুন গেরি গুগলির চচ্চড়ি, সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর
তবে এ তো গেল খাবার আর দোকানের বিবরণ! কিন্তু কেন একে ফাইভ স্টার হোটেলের খাবার বলা হচ্ছে ? আসলে এর পিছনে একটা বড় কারণ। গোকুল চাট সেন্টারের কর্ণধারের নাম টোটন দাস। এই টোটন দাস দীর্ঘদিন ধরে ছিলেন হায়দরাবাদে। সেখানে তিনি একটি ফাইভ স্টার হোটেলে অল রাউন্ডার সেফ হিসেবে চাকরি করতেন। মোটা টাকা বেতনও পেতেন। সেই ফাইভ স্টার হোটেলেই তিনি বিভিন্ন ধরনের খাবার বানানো শিখেছেন। তাহলে কেন চাকরি ছেড়ে হঠাৎ ফুটপাতে স্টল খুললেন? এই প্রসঙ্গে টোটন দাস জানান, লকডাউনে কম বেশি সকলের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় তাঁরও চাকরি চলে যায়। আর্থিক অবস্থাও বেশ খারাপ হয়। সেই সময় তিনি বসে না থেকে কিছু করার তাগিদে এই স্টল খোলার সিদ্ধান্ত নেন।
টোটন দাসের পরিবারে রয়েছেন বাবা, মা, স্ত্রী এবং ছেলে। সব খরচ টোটনকে একাই সামলাতে হয়। তবে এই অতিরিক্ত পরিশ্রম টোটনের একার দ্বারা করা সম্ভব হয় না। তাই তাঁর কাজে তাঁকে সাহায্য করার জন্য সব সময় সঙ্গে থাকেন তাঁর স্ত্রী। দু’জন মিলেই চালাচ্ছেন ব্যবসা। কাটোয়া শহরে এই গোকুল চাটের বেশ ভাল নাম রয়েছে। সেরকমই চাট খেতে এসে সৌম্য রুদ্র বন্দ্যোপাধ্যা্য় নামের এক ক্রেতা জানান, তিনি মাঝে মাঝেই এখানে খাবার খান। তাঁর কাছে এই গোকুল চাটের খাবার ফাইভ স্টার হোটেলের থেকেও ভাল লাগে বলে জানিয়েছেন। এখানকার খাবার বেশ ভাল এবং দামেও কম।
শহর জুড়ে এই চাট কম বেশি অনেকেই পছন্দ করেন । সন্ধে হলেই এই স্টলে ভিড় জমায় অনেকেই। তাই চাইলে আপনারাও সাধ্যের মধ্যে উপভোগ করতে পারেন ফাইভ স্টারের সেফের হাতের জাদু। রকমারি খাবার বিকোচ্ছে প্রতিদিন সন্ধে থেকে রাত।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী