আরও পড়ুন: আবার ভয়াবহ বজ্রপাত, এবার প্রাণ গেল ২৫ জনের, চারিদিকে শুধু হাহাকার
পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা এবং জুনপুট সমুদ্র উপকূলে মিসাইল ফ্লাইট ট্রায়ালের জন্য সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা ১৭ থেকে ১৯ জুলাই এবং ২৪ থেকে ২৬ জুলাই, অর্থাৎ মোট ৬ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জেলার জুনপুট উপকূল থেকে ডিআরডিও এই মিসাইল ট্রায়াল করবে। সেই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের জন্য। বার বার নিষেধাজ্ঞার জেরে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে জানান মৎস্যজীবীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: মানিকতলায় জিতেই বড় সিদ্ধান্ত তৃণমূলের, কুণালকে দায়িত্ব দিল দল
বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া নির্দিষ্ট দিনগুলিতে সকাল ৯:৩০ মিনিট থেকে বিকাল ৪:৩০ মিনিট পর্যন্ত নিরাপত্তার কারণে মৎসজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করছে ডিআরডিও, মৎস দফতর। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মিসাইল উৎক্ষেপনের জন্য মৎসজীবীদের সমুদ্রে নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। তা নিয়েই এখন চর্চা সৈকত নগরীতে।
মিসাইল ট্রায়াল উৎক্ষেপণ নিয়ে শোরগোল পড়েছে মৎস্যজীবী মহলে। মৎস্যজীবী সংগঠনের সাধারণ সম্পদক দেবাশিষ শ্যামলও এ বিষয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলছেন, বারবার নিষেধাজ্ঞা জারি করায় মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছেন মৎসজীবীরা। সে কারণেই আমরা আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক নোটিস যে ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করে দিয়েছেন কাঁথি মৎস্য দফতরের সহ-মৎস্য অধিকর্তা সুমন সাহা।
প্রসঙ্গত এর আগেও চলতি বছরে মিসাইল ট্রায়ালের জন্য ১৬ মে থকে ৩০ মে পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। বারবার নিষেধাজ্ঞার জেরে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে মৎসজীবীদের। এবারও সেই একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হবে, এমনই আশঙ্কা করছে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির। প্রসঙ্গত জুনপুট ভূমিরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে জুনপুটর মতো জনবহুল এলাকায় মিসাইল উৎক্ষেপন কেন্দ্র বাতিলের দাবিতে কাঁথি ১ বিডিওর কাছে ডেপুটেশনও দেওয়া হয়। আবার মিসাইল ট্রায়ালের দিনক্ষণ সামনে আসতেই সোচ্চার সব মহলই।