রাতেই তাঁরা পৌঁছে যান বকখালির কাছেই সৈকত থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরের বঙ্গোপসাগরের মধ্যে একটি জায়গায়। তবে জায়গাটি অগভীর ছিল বলেই খবর। সেখানে ভাটার সময় খুঁটি পুঁতে জাল দিয়ে মাছ ধরার মত কাজ করেন কিছু মৎস্যজীবী। তবে জোয়ার আসলে সেই বিষয়টি বোঝা যায়না। জলও থাকে বেশি। এই জায়গায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মঙ্গল চণ্ডী নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার।
advertisement
আরও পড়ুন : আদরের অছিলায় শিশু নিয়ে চম্পট, ১৮ দিনের একরত্তি কোলছাড়া! বর্ধমানে তুমুল হইচই, শেষে পুলিশের ফাঁদে মা-মেয়ে
পরে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা ১৮ জন মৎস্যজীবী সমুদ্রে পড়ে যান। এরপর ১৬ জন মৎস্যজীবী অন্য একটি ট্রলারে উঠতে সক্ষম হন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ২ জন মৎস্যজীবী কমল জানা, দেবনাথ করকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রলারটিকে টেনে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। উপকূলে আনলে ট্রলারের খোলের মধ্যে তাঁরা চাপা পড়েছেন কিনা দেখা হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নিখোঁজ দুজনেই ফ্রেজারগঞ্জ উপকূলীয় থানার দেবনিবাসের বাসিন্দা। যে সমস্ত মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের এনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। নিখোঁজ মৎস্যজীবীর পরিবারের লোকজন উৎকন্ঠায় সময় কাটাচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই পরিবারের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।