রবিবার সকালে আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালিয়েও বিশ্বজিতের কোনও খোঁজ মেলেনি। ঝড়খালি কোস্টাল থানার অন্তর্গত ২ নম্বর ঝড়খালি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। স্থানীয় তিন সঙ্গী তপন মিস্ত্রী, দিলু বৈরাগী ও বাবলু মিস্ত্রির সঙ্গে একসঙ্গেই মাছ ধরতে গিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
আরও পড়ুনঃ ফালাকাটা-আলিপুরদুয়ার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন! জলোচ্ছ্বাসে ভাঙল অস্থায়ী রাস্তা, জোর বিপাকে মানুষজন
advertisement
সঙ্গীরা জানিয়েছেন, সকলে একসঙ্গে মাছ ধরছিলাম। বিশ্বজিৎ খালে নেমে জাল পাতছিল। সেই সময় আচমকা চিৎকার করে ওঠে। মুহূর্তে ওঁকে নদীর ভিতরে টেনে নিয়ে যায় কুমির। ভয়ে আমরা সকলেই নৌকায় উঠে আসি। সকালে ঝড়খালি থানা ও বনকর্মীদের বিষয়টি জানাই। নিখোঁজ মৎস্যজীবী খোঁজ চলছে।
অন্যদিকে পাথরপ্রতিমা ব্লকের জি-প্লট গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার দাসপুরে উত্তর সুরেন্দ্রগঞ্জ এলাকায় জগদ্দল নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কুমিরের হানায় মৃত্যু হয় মৎস্যজীবী শঙ্কর হাতির (৪৫)। রবিবার সকালে ওই মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার হয়। নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে জাল ফেলেছিলেন শঙ্করবাবু। কিন্তু জালে উঠে আসে কুমির। মাছ ভেবে জাল টানার জন্য জলে নামতেই কুমির এসে তাঁকে টানতে টানতে জলের ভিতর নিয়ে যায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
খবর পেয়ে গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী লঞ্চ এবং নৌকা নিয়ে নদীতে তল্লাশি চালাতে শুরু করে। স্থানীয় মানুষ, বন দফতর ও পুলিশ প্রশাসন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যৌথ তল্লাশি চালিয়েও শনিবার রাতে শঙ্করের হদিশ পায়নি। রবিবার ভোরে নদী থেকে উদ্ধার হয় শঙ্করের দেহ। দুই পরিবারেই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।