TRENDING:

Bomb: এখানেই ফেটেছিল পরাধীন ভারতে বাংলার প্রথম বোমা! কলকাতা নয়, কোথায় এই জায়গা জানেন? স্বাধীনতা সংগ্রামের জ্বলন্ত ইতিহাস

Last Updated:

Independence Movement: ব্রিটিশ সাহেবকে হত্যা করতে বাংলায় প্রথম মাইন বিস্ফোরণ ঘটানো হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর: এই সেই ডিসেম্বর। যেখানে এখন বোমা গুলির শব্দ নেই, নেই ব্রিটিশ হটানোর প্রাণপণ লড়াই। নামও পরিবর্তিত হয়েছে রেল পথের। যে পথে ইংরেজ সাহেবকে মারতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন বীর বিপ্লবীরা, সেই পথ দিয়ে এখন চলে দূর পাল্লার নানা এক্সপ্রেস, পণ্যবাহী ট্রেন। তবে পরাধীন ভারতবর্ষে সাহেব মারতে বাংলায় প্রথম বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে।
advertisement

পরাধীন ভারতে এমন এক শীতের ডিসেম্বরে ইংরেজ সাহেবকে মারতে বোমা বিস্ফোরণ করে ভারতীয় বীর বিপ্লবীরা। বঙ্গপ্রদেশে প্রথম বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল মেদিনীপুরেই। আরও ছোট করে বললে নারায়ণগড়ে। বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন পরাধীন ভারতবর্ষের বিপ্লবীরা। ঘটনা ১৯০৭ সালের ৬ ডিসেম্বর।

আরও পড়ুন: ছিলেন ৩০ কোটির, এখন মাত্র ৯ কোটির! পরপর ২ ফ্লপ দিয়েই ডুবল ‘হিরোগিরি’, চিনতে পারছেন সেলেব বাবার পুত্র নায়ককে?

advertisement

ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, এই দিনেই রাতের ট্রেনে ওড়িশার দুর্ভিক্ষ পীড়িত এলাকা পরিদর্শন করে ফিরছিলেন তৎকালীন ছোটলাট এণ্ড্রু ফ্রেজার। যিনি বিপ্লবীদের চোখে অত্যাচারী, বঙ্গভঙ্গে লর্ড কার্জনের পরামর্শদাতা তথা মূল পাণ্ডা হয়ে উঠেছিলেন। তাই বিপ্লবীদের কাছে চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন এই ইংরেজ সাহেব।

View More

তাকেই বিপ্লবীরা দণ্ড দিতে প্রস্তুত হয়। আগেও ব্যর্থ হয়েছেন বিপ্লবীরা। এবারে যেন বিফল না হয়। প্রতিজ্ঞা করেছেন গুপ্ত সমিতির বিপ্লবীরা। তাই সচেতনভাবে, সবদিকে নজর দিয়ে এবং সন্তর্পনে ৬ ডিসেম্বর রাতে রেল লাইনে পোঁতা হল বোমা।

advertisement

আরও পড়ুন: জল খেয়েই কমবে ডায়াবেটিস! শুধু খেতে হবে এইভাবে…ম‍্যাজিকের মতো কমবে ব্লাড সুগার, এখনই জানুন

বঙ্গ প্রদেশে ব্রিটিশ শাসক হত্যায় কলকাতার গুপ্ত সমিতির উদ্যোগ ও মেদিনীপুরের গুপ্ত সমিতির সহযোগিতায় এই দুঃসাহসিক কাজে যুক্ত ছিলেন বারীন্দ্রনাথ ঘোষ তথা বারীন ঘোষ, বিভূতি সরকার এবং পরবর্তীতে কিংসফোর্ডকে হত্যার কাজে নিযুক্ত ক্ষুদিরামের সহযোগী প্রফুল্ল চাকি। এই কাজে আরও একজন বিপ্লবী পূর্ণচন্দ্র সেনের ওপর দায়িত্ব থাকলেও খড়্গপুর পর্যন্ত এসে তাঁকে ফিরে যেতে হয়।

advertisement

বারীন তাঁর আলিপুর বোমা মামলার স্বীকারোক্তিতে বলেছিলেন, দুজনকে পাহারায় বসিয়ে তিনি নিজেই মাইন পুঁতেছিলেন। যাতে সবটা নিঁখুতভাবে হতে পারে। জেলার অন্যতম বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগো তখন প্যারিসে। বোমা তৈরির কৌশল আয়ত্ত করার কাজ শেষ করে ফেরার আগে পর্যন্ত বোমা তৈরির কারবারে তখন যুক্ত ছিলেন উল্লাস কর দত্ত। তাঁর তৈরি বোমা আনা হয়েছিল মেদিনীপুর তথা নারায়ণগড়ে।

advertisement

আরও পড়ুন: পায়ের বুড়ো আঙুলের চেয়ে কী পাশের আঙুল বেশি লম্বা? জানেন কেমন মানুষ হন এরা? পায়ের আঙুল দেখেই চিনে নিন চরিত্র

খড়গপুর থেকে ওড়িশাগামী বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে যা বর্তমানে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে শাখা, সেই শাখার নারায়ণগড় স্টেশনের কাছেই রেল লাইনের নিচে পোঁতা হয় ডিনামাইট বোমা। উল্লাস কর দত্তের প্রস্তুত ডিনামাইট বোমাটি নারায়ণগড় স্টেশনের অল্প দূরে রেল লাইনের নীচে বসান বিপ্লবীরা। তবে সামান্য বিপ্লবীদের ভুলে অত্যাচারীর এই শাসক প্রাণে বেঁচে যান।

তবে বিপ্লবীদের সেই স্মৃতি আজও দগদগে নারায়ণগড়ের এই এলাকায়। বাংলায় বিস্ফোরণের সেই প্রথম স্মৃতিকে ধরে রাখতে রেল লাইনের ধারে ডহরপুর শবরপল্লিতে ১৯৭২ সালের ৬ ডিসেম্বর স্মৃতিস্তম্ভ গড়েছেন প্রবোধকুমার ভৌমিক। উদ্বোধন করেছিলেন বিপ্লবী ভূপতি মজুমদার। আজও স্মৃতিস্তম্ভ সেই স্মৃতিকে জাগিয়ে রেখেছে। তবে সেই ঐতিহাসিক ডিসেম্বরে স্মৃতি আজও টাটকা মেদিনীপুরের ইতিহাসে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

রঞ্জন চন্দ

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bomb: এখানেই ফেটেছিল পরাধীন ভারতে বাংলার প্রথম বোমা! কলকাতা নয়, কোথায় এই জায়গা জানেন? স্বাধীনতা সংগ্রামের জ্বলন্ত ইতিহাস
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল