হাওড়ার সব থেকে বেশি ব্যস্ত ও যানজটের পথ সালকিয়া থেকে বেলগাছিয়া যাওয়ার রাস্তা। সেই রাস্তা দিয়েই বাড়ি ফিরছিলেন অরুন ঘোষ নামের এক ব্যক্তি। আগুন দেখেই সোজাসুজি ফোন করেন দমকল বিভাগের সদর দফতরে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সবাই ১০১ ডায়াল করেন। তার ফলে দমকলের সদর দফতরে সেই খবর আসতে অনেক সময় লেগে যায়। ফলে আগুন অনেক ক্ষেত্রেই ছড়িয়ে পড়ে।
advertisement
আরও পড়ুন- জ্বালানির আগুন দাম ! বাইকে ছেড়ে ঘোড়ায় চেপে ঘুরছেন ব্যান্ডেলের যুবক !
অরুন বাবু জানান, ১০১ ডায়াল করে অনেকবার দেখেছিলেন। কাজ হতে অনেক সময় লেগে যায়। তাই মোবাইলে দমকল থেকে সিইএসসি, এমনকি হাওড়ার সব থানার ডাইরেক্ট ফোন নাম্বার স্টোর করে রেখেছেন। আগুন দেখেই প্রথম দমকলের সদর দফতরে পরে CESC-কে ফোন করেন তিনি। তাতেই কাজ হয়।
দমকল যাতে তাড়াতাড়ি পৌঁছতে পারে তার জন্য ফোন করেন গোলাবাড়ি ও মালিপাঁচঘড়া থানায়। থানাকে তিনি জানান, দমকল আসছে, তাই রাস্তা ফাঁকা রাখতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশও দ্রুত রাস্তা যানজট মুক্ত করে দেয়। ১০ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে যায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। দমকলের কর্মীরা জলের পাইপ নিয়ে দ্রুত পৌঁছে যায় পাঁচতলার ঘরে। আগুনের লেলিহান শিখা তখন গ্রাস করে ফেলেছে তিনটি ঘর। দরজা ভেঙে এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বহুতলে অন্য ঘরে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন- সাংঘাতিক! সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন দেখে অপরাধের ব্লু প্রিন্ট! অপারেশনে ২ মহিলা...
দমকলের আধিকারিক শুভাশিস দাস জানান, সদর দফতরে সরাসরি কল করায় ঘটনাস্থলে তাঁরা অনেক তাড়াতাড়ি পৌঁছতে পেরেছিলেন। শুধু দমকলে নয়, অরুন বাবুর উপস্থিত বুদ্ধিতে দমকলের গাড়ির আসর পথ অনেকটাই মসৃন হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরাও সময়মতো চলে আসেন। ফলে দ্রুত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় দমকলের কাজ করতে অনেক সুবিধা হয়।
একজন মানুষ দুর্ঘটনার সময় নিজেকে শান্ত রেখে বুদ্ধি প্রয়োগ করে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে অনেক মানুষকে রক্ষা করলেন। দমকলের আধিকারিকের দাবি, জল দিয়ে আগুন তারা নেভালেও আসল কাজটি করেছেন অরুনবাবু। পুলিশের দাবি, সবাই যখন আগুন দেখা সত্বেও নজর এড়িয়ে চলে যাচ্ছিলেন, আবার অনেকেই ব্যস্ত ছিলেন ছবি তুলতে, সেই সময় অরুনবাবু প্রমান করলেন, সাধারণ মানুষও পারে অনেক বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে মানুষকে রক্ষা করতে।