বিশ্বভারতীর উপাচার্য তিনি বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে সপ্তাহে একদিন রবিবার চালু থাকবে। ঘুরে দেখার জন্য দেড় ঘণ্টা বরাদ্দ করা হবে। পর্যটকদের পাঠভবন আশ্রম, নতুন বাড়ি, শান্তিনিকেতন বাড়ি, উপাসনা গৃহ বা কাঁচঘর, সিংহসদন ও কালোবাড়ি ঘুরিয়ে দেখানো হবে। সবশেষে সঙ্গীত ভবনে পাঁচ মিনিটের একটি সাংস্কৃতিক নৃত্যানুষ্ঠানের ব্যবস্থাও থাকবে। যেহেতু শান্তিনিকেতন লিভিং হেরিটেজ সাইট, সেজন্যই এই বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বিশ্বভারতীর এই উদ্যোগে স্বভাবতই খুশি পর্যটক থেকে শুরু করে রবীন্দ্র প্রেমী মানুষজনের।
advertisement
আরও পড়ুন-মাত্র ৫৩-তে সব শেষ…! অকালে চলে গেলেন বিখ্যাত অভিনেতা, বিনোদন জগতে বিরাট দুঃসংবাদ
প্রসঙ্গত সময়টা প্রায় দু’বছর আগে। ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড লিভিং হেরিটেজ সাইট’ এর স্বীকৃতি পায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন। তারপর থেকেই পর্যটকদের আনাগোনা ব্যাপক হারে বাড়লেও করোনাকালে প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ থেকে বঞ্চিত ছিলেন পর্যটকেরা। নতুন উপাচার্য প্রবীরকুমার ঘোষ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, রবীন্দ্রচিন্তা ও স্থাপত্য দর্শনের সুযোগ সবার জন্য করে তুলতেই ‘হেরিটেজ ওয়াক’-এর ভাবনা বলে জানা যায়।
সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে জোর প্রস্তুতিশুরু হয়েছে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে। বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতনের মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালা থেকে শুরু করে পাঠভবন সংলগ্ন চৈত্যবাড়ি হয়ে ছাতিমতলা ফটক পর্যন্ত ইংরেজি এল আকারে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। এই রাস্তাটি রবীন্দ্রনাথের সময়কালের আদলে মোরামের উপর দু’পাশে সিমেন্টের ছোট ছোট স্ল্যাব দিয়ে বাঁধানো হবে। সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে তার দু’পাশে থাকবে ফুলগাছ। আর এরই মাঝে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে পর্যটকদের প্রবেশ করানো হবে বিশ্বভারতীর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইডে।
সৌভিক রায়