ছোট থেকেই আর পাঁচ জনের মত বেড়ে ওঠা। ছোটতে অনেকের নেশা বা শখ থাকে বিভিন্ন জিনিস সংগ্রহ করার। কারও আবার নেশা থাকে টিকিট, কারও নেশা বিভিন্ন দেশের টাকা জমানোর, কিন্তু ঈশানীর নেশা বিভিন্ন পাখির পালক সংগ্রহ করার! কী অদ্ভুত বিষয় তাই না? হ্যাঁ ঠিকই। তার ঝুলিতে সংগ্রহের তালিকায় কী নেই ? ময়ূর থেকে ম্যাকাও পাখির পালক রয়েছে তার কাছে।
advertisement
আরও পড়ুন: চাষের আকাশে রকেটের গতি, কষ্ট কমে বলদের…! ট্রাক্টরের যুগে আজও এই জায়গায় বাজার কাঁপাচ্ছে ‘রকেট লাঙল’
পশ্চিম বর্ধমান জেলার সালানপুরের অন্তর্গত লচমনপুরে বাড়ি ঈশানী রজকের । বাবা উত্তম রজক পেশায় দর্জি। মা গৃহিণী। ছোট থেকেই বেড়ে ওঠা সালানপুরের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম লচমনপুরে। একাদশ এবং দ্বাদশ ক্লাসে হিন্দুস্থান কেবলস স্কুল থেকে পড়াশোনা করার পরে কুলটি কলেজ থেকে একাউন্টান্সি অনার্স নিয়ে পড়াশোনা সম্পূর্ণ করেছে ঈশানী। বর্তমানে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা পড়াশোনার চলছে। এর পাশাপাশি এলাকার বাচ্চাদের ড্রয়িং শেখায় ঈশানি এবং নিজেই বিভিন্ন পাখির পালক সংগ্রহ করে ছবি ফুটিয়ে তোলেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ঈশানি জানায়, “ছোট থেকেই ভালবাসা আছে পাখির পালকের উপরে। রাস্তায় যখনই দেখতে পেতাম কুড়িয়ে নিতাম সেই পাখির পালকগুলো এবং সেগুলো সংগ্রহ করে রাখি। এটার প্রতি একটা আলাদা ভাললাগা আছে। এরপরে জানতে পারলাম আসানসোলে একজন আছেন যার কাছে থেকে এই পাখির পালকগুলো বেশি করে সংগ্রহ করতে পারি। তবে হ্যাঁ, এই পালকগুলো যখন পাখির শরীর থেকে আপনা আপনি ঝরে পড়ে যায় তখনই সংগ্রহ করা হয় এবং এইগুলোর উপরে ফুটিয়ে তুলেছি বিভিন্ন কবি, মনীষীদের ছবি।”
লকডাউনের পরে পালকের উপরে একটি ছবি ফুটিয়ে তুলে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে। তার পরেই ঈশানীর সেই ভিডিওটি ভাল সাড়া পায়। সেই থেকেই পথ চলা শুরু। এরপরে তাঁর শিক্ষক একটি প্রদর্শনীতে ছবি দিতে বললে পালকের উপরে কাকাতুয়া পাখির ছবি ফুটিয়ে তোলে সে। সেখান থেকেই তার সফলতা শুরু হয়ে যায়। এর পরে একে একে ঈশানী বিভিন্ন পাখির পালকের ওপরে কবি, মনীষী, দেবদেবীর ছবি ফুটিয়ে তুলেছে। তার তৈরি ছবি কিনতে আসছেন অনেকেই। স্বাভাবিকভাবেই আর্থিক দিক দিয়ে অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়েছে ঈশানী। খুশি তার পরিবারের সকলেই।
রিন্টু পাঁজা