সমস্ত বাধা অতিক্রম করে কঠিন অনুশীলন দিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই জয় করেছেন নর্থ চ্যানেল, ইংলিশ, ক্যাটালিনা,মলোকাই এবং কুক প্রণালী। পাঁচটা চ্যানেল জয় করার পর এবার লক্ষ্য জিব্রাল্টার। আর মাত্র কিছুদিনের মধ্যে আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে তিনি জলে নামবেন। এই প্রসঙ্গে সায়নী দাস বলেন, “আমি আশাবাদী এই চ্যানেল আমি জয় করতে পারব।”
advertisement
সায়নী দাসের কথায়, এই জিব্রাল্টার চ্যানেলটি স্পেন এবং মরক্কোর মাঝখানে। অন্যান্য চ্যানেলের তুলনায় এই চ্যানেলটি পার করার দূরত্ব কম হলেও কিন্তু প্রতিকূলতা অনেক বেশি। তার কারণ হাঙরের আক্রমণ অনেক বেশি হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত সমুদ্রস্রোতের সমস্যাও থাকে। সেকারণে সব কিছু ভেবে তাঁকে অনুশীলনও আলাদা ধরনের করতে হয়েছে।
আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে যেদিন আবহাওয়া ভাল থাকবে সেদিন আমেরিকার দুজন এবং ভারতবর্ষ থেকে একমাত্র সায়নী দাস, এই তিনজন মিলে একসঙ্গে পাড়ি দেবেন জিব্রাল্টার চ্যানেল জয়লাভের জন্য। সায়নীর বাবা রাধেশ্যাম দাস জানিয়েছেন, যে আর্থিক সংকটের মধ্যে সায়নীর জীবন শুরু হয়েছিল সপ্তসিন্ধু পারের লক্ষ্যে আজ কিন্তু সে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা আর নেই। পাশে পেয়েছেন বহু সংস্থা,ব্যক্তিগত মানুষের সাহায্য।
সায়নীর আগামী দিনের লক্ষ্য, তাঁর জীবনের এই অভিজ্ঞতাগুলিকে কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে ভারতবর্ষে সাঁতারের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করে নতুন সাঁতারুদের উচ্চতায় পৌঁছে নিয়ে যাওয়া। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা মেয়ে সায়নী। ছোট বয়সেই বাবার হাত ধরে সাঁতারে হাতেখড়ি তাঁর। তার পর থেকে কঠিন অনুশীলনের মাধ্যমে তিনি নিজেকে সাঁতারু হিসেবে গড়ে তুলেছেন। বর্তমান সায়নীর স্বপ্ন বা ইচ্ছা সপ্তসিন্ধু জয় করবেন।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী