অনেকে বলেন হাইব্রিড সবজি। বেশ তো বাজারে বড় বড় বেগুন থেকে আরম্ভ করে অন্য নানা ধরণের সবজি কিনে আনছেন। যেগুলো সাধারণ আকার থেকে অনেক বড়। আপনি কি জানেন, ওই সবজিগুলি বড় করা হচ্ছে আসলে ন্য উপায়ে। কীভাবে? অবাক হয়ে যাবেন!
আরও পড়ুন- রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আমল থেকে কৃষ্ণনগরে হয়ে আসছে বারদোলের মেলা, এবারও চলছে মেলা
advertisement
অক্সিটোসিন (হরমোন) ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে সবজিগুলিতে। এই প্রচলন বিহার, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিতে বেশ কিছুদিন ধরে চলে আসছিল। ইদানিংকালে হুগলির খানাকুল থেকে আরম্ভ করে হরিণখোলা ইত্যাদি জায়গাতে শুরু হয়েছে সবজিতে অক্সিটোসিন ইনজেকশন দেওয়া।
চাষিরা বিকেলবেলা গাছে জল দেওয়ার পরেই বেগুন ,লাউ, কুমড়ো,তরমুজসহ অনেক সবজিতে সিরিঞ্জ দিয়ে অক্সিটোসিন ইনজেকশন দিচ্ছেন। ১২ ঘন্টার পর অর্থাৎ সকাল হলেই সেগুলি ৫০ গ্রাম ওজন থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে।
দশ থেকে কুড়ি গুণ পর্যন্ত সবজির আয়তন এবং ওজন বেড়ে যাচ্ছে। খুব আশ্চর্যের বিষয়, এই ধরনের অপরাধে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ না জেনেই শিকার হচ্ছি। চিকিৎসকদের বক্তব্য,অক্সিটোসিন হরমোন শরীরে বেশি মাত্রায় গেলে শরীরের নানারকম বিকলাঙ্গতা দেখা দিতে পারে।
বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে চরম ক্ষতিকর। এই ধরনের সবজি খেলে চর্মরোগ, পেটের সমস্যা, ঝিমুনি ভাব, হঠাৎ করে শরীর ফুলে যাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি অজান্তে শুরু হতে পারে।
জেলাগুলোর বিভিন্ন কৃষি ভান্ডার গুলিতে লুকিয়ে বিক্রি হচ্ছে অক্সিটোসিন ইনজেকশন। বহু চাষী রয়েছেন যারা জানেনই না, ইনজেকশনটা আসলে কী? কী ক্ষতি হতে পারে তাতে? তাঁরা শুধু জানেন, এতে তাড়াতাড়ি ফলন বাড়ে।
আরও পড়ুন- পান্তাভাতের সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজা, ওপার বাংলার ইলিশে এপার বাংলায় নববর্ষ পালন
চিকিৎসকদের বক্তব্য, বেশি মুনাফার লোভে বেশ কিছু চাষি যেটা করছে সেটা আইনত বন্ধ না করলে আগামী দিনে অজান্তেই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বে এবং সমাজে বড় ক্ষতি হবে।