ঘরের ছেলে ঘরে ফেরায় স্বস্তিতে পরিবার। যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে কাটানো প্রতি মুহুর্তের অভিজ্ঞতা জানালেন সুমন। বললেন, ‘‘যুদ্ধ ঘোষণা হওয়ার পরেই সাইরেন বেজে ওঠে শহরে। তার পরই চার দিকে মিসাইল আর বোমার আওয়াজ। আমরা বন্ধুরা শহরের সমস্ত ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করি। তার পরই আমরা চার জন বন্ধু বাসে করে রোমানিয়া বর্ডারে এসে পৌঁছই।
advertisement
প্রচন্ড ঠান্ডায় ৩৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অবশেষে সীমান্ত পার করি। তার পর ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে দু’দিন পরে বিমানের টিকিট পেয়ে দেশে ফিরি। চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটিয়েছি। প্রতিটা মুহুর্ত মৃত্যুর আতঙ্কে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। সারাদিন বাঙ্কারে বসে কাটিয়েছি। খাবার, পানীয় জল কিছু ছিল না। ভারত সরকারের তৎপরতাতেই দেশে ফিরে আসতে পেরেছি।’’
আরও পড়ুন : শতবর্ষে মৃণাল সেনকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি ‘পালান’, খুশি মৃণালপুত্র কুণাল
আরও পড়ুন : এপ্রিল ফুল-এর আগেই উরিবাবায় হাজির তিন আহাম্মক, তাঁদের সঙ্গে আবার পা দিন একুশে
ঘরের ছেলে ঘরে ফেরায় স্বস্তিতে পরিবার। মা সুজাতা ঘোষ বলেন, ‘‘ছেলেকে কাছে পেয়ে এখন আমি স্বস্তিতে। খুব চিন্তায় এই ক’টা দিন কাটিয়েছি। অপেক্ষায় থাকতাম কখন সুমন ফোন করবে আর ওর খবর পাব। সুমন বাড়িতে ফিরে না আসা পর্যন্ত স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। আরও অনেক ছেলে মেয়ে ওখানে আটকে আছেন। সরকারের পক্ষ থেকে ওদের কেউ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক।’’ তাঁর বাবা সুকুমার ঘোষ অবশ্য এখন চিন্তামুক্ত৷ তিনি বলেন, ‘‘ ছেলের ডাক্তারি পড়ার খুব ইচ্ছা ছিল, তাই ইউক্রেনে পড়তে গিয়েছিল। কিন্তু ভাবতেই পারিনি এই ভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে ওকে পড়তে হবে। ভারত সরকারের তৎপরতায় আমার ছেলে বাড়ি ফিরে এসেছে। খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এখন আমি স্বস্তিতে।’’