TRENDING:

War in Ukraine: তীব্র শীতে ৩৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে সীমান্ত পার, বোমাবর্ষণ পিছনে ফেলে অবশেষে ঘরে

Last Updated:

War in Ukraine:কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতিতেই ইউক্রেনে আটকে থাকেন সুমন। এ দিকে চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটে পরিবারের সকল সদস্যদের। অবশেষে ভারতীয় দূতাবাসের তৎপরতায় দেশে ফিরলেন সুমন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ফরাক্কা : চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বছর তিনেক আগে সুদূর ইউক্রেনে পাড়ি দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার চৌকিগ্রামের বাসিন্দা সুমন ঘোষ। ইউক্রেনের ভি এন করাজিন খারকিভ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডাক্তারির তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া সে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হতেই অন্যান্য ভারতীয় পড়ুয়াদের মতোই আটকে পড়েন সুমন (War in Ukraine)। ব্যাহত হয়ে পড়ে বিমান পরিষেবা। কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতিতেই ইউক্রেনে আটকে থাকেন সুমন। এ দিকে চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটে পরিবারের সকল সদস্যদের। অবশেষে ভারতীয় দূতাবাসের তৎপরতায় দেশে ফিরলেন সুমন।
ভারতীয় দূতাবাসের তৎপরতায় দেশে ফিরলেন সুমন
ভারতীয় দূতাবাসের তৎপরতায় দেশে ফিরলেন সুমন
advertisement

ঘরের ছেলে ঘরে ফেরায় স্বস্তিতে পরিবার। যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে কাটানো প্রতি মুহুর্তের অভিজ্ঞতা জানালেন সুমন। বললেন,  ‘‘যুদ্ধ ঘোষণা হওয়ার পরেই সাইরেন বেজে ওঠে শহরে। তার পরই চার দিকে মিসাইল আর বোমার আওয়াজ। আমরা বন্ধুরা শহরের সমস্ত ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করি। তার পরই আমরা চার জন বন্ধু বাসে করে রোমানিয়া বর্ডারে এসে পৌঁছই।

advertisement

আরও পড়ুন : ৯ কিমি পথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়ে ২২ ঘণ্টা সফরের পর অবশেষে সীমান্ত, ঘরে ফিরে স্বস্তিতে ইউক্রেন ফেরত ২ ডাক্তারি পড়ুয়া

প্রচন্ড ঠান্ডায় ৩৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অবশেষে সীমান্ত পার করি। তার পর ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে দু’দিন পরে বিমানের টিকিট পেয়ে দেশে ফিরি। চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটিয়েছি। প্রতিটা মুহুর্ত মৃত্যুর আতঙ্কে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। সারাদিন বাঙ্কারে বসে কাটিয়েছি। খাবার, পানীয় জল কিছু ছিল না। ভারত সরকারের তৎপরতাতেই দেশে ফিরে আসতে পেরেছি।’’

advertisement

আরও পড়ুন : শতবর্ষে মৃণাল সেনকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি ‘পালান’, খুশি মৃণালপুত্র কুণাল

আরও পড়ুন : এপ্রিল ফুল-এর আগেই উরিবাবায় হাজির তিন আহাম্মক, তাঁদের সঙ্গে আবার পা দিন একুশে

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

ঘরের ছেলে ঘরে ফেরায় স্বস্তিতে পরিবার। মা সুজাতা ঘোষ বলেন,  ‘‘ছেলেকে কাছে পেয়ে এখন আমি স্বস্তিতে। খুব চিন্তায় এই ক’টা দিন কাটিয়েছি। অপেক্ষায় থাকতাম কখন সুমন ফোন করবে আর ওর খবর পাব। সুমন বাড়িতে ফিরে না আসা পর্যন্ত স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। আরও অনেক ছেলে মেয়ে ওখানে আটকে আছেন। সরকারের পক্ষ থেকে ওদের কেউ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক।’’ তাঁর বাবা সুকুমার ঘোষ অবশ্য এখন চিন্তামুক্ত৷  তিনি বলেন, ‘‘ ছেলের ডাক্তারি পড়ার খুব ইচ্ছা ছিল, তাই ইউক্রেনে পড়তে গিয়েছিল। কিন্তু ভাবতেই পারিনি এই ভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে ওকে পড়তে হবে। ভারত সরকারের তৎপরতায় আমার ছেলে বাড়ি ফিরে এসেছে। খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এখন আমি স্বস্তিতে।’’

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
War in Ukraine: তীব্র শীতে ৩৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে সীমান্ত পার, বোমাবর্ষণ পিছনে ফেলে অবশেষে ঘরে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল