ফরাক্কার বিধায়ক মণিরুল ইসলাম বলেন, অসমে এভাবে শ্রমিকদের হয়রানি করা ঠিক হচ্ছে না। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলি। প্রয়োজনীয় নথিও পাঠানো হয়। শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ফিরে আসছেন। জানা গিয়েছে, ১৬ জন শ্রমিককে নুমলিগড় থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শ্রমিকরা কোম্পানির ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। শ্রমিকদের খোঁজও নেয়নি কোম্পানির লোকজন। জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি জঙ্গিপুর জেলা পুলিসের নজরে আনেন।
advertisement
পুলিশ শ্রমিকদের পরিচয়পত্র ও প্রয়োজনীয় নথি স্থানীয় প্রশাসনকে পাঠায়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার পরই শ্রমিকদের ছেড়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়। পরে তাদের ছাড়া হয়। অবশেষে ফিরে এলেন বাড়িতে। ফিরে আসা শ্রমিক আব্দুস সাত্তার ও শাহবাজ হাসমি জানান, আধার কার্ড ও মোবাইল নিয়ে নেওয়া হয় পরে তা দিয়ে দেওয়া হয়। জঙ্গিপুর জেলা পুলিশের সহযোগিতায় ছেড়ে নেওয়া হয়েছে। আবদুল হাকিম বলেন, সামনেই ঈদ। এই সময়ে একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরতে হল। আপাতত আর কাজে যাচ্ছি না, আগামীদিনে যাব কি না, পরে ভেবে দেখব।
কৌশিক অধিকারী