Female Foeticide Racket Exposed: ছেলে নাকি মেয়ে গর্ভে? বাড়ি গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করতেন এরা, কন্যাভ্রূণ হলেই গর্ভপাত! রমরমা ব্যবসার পর্দাফাঁস, লজ্জায় মাথা হেঁট
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
Abortion: বেটিকে ত্রুণেই মেরে ফেলতে কোনও দ্বিধা করছে না একটি সমাজবিরোধী গ্যাং। কড়া আইন থাকা সত্ত্বেও গুজরাটে কন্যাভ্রূণ হত্যার একটি ঘৃণ্য ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ।
advertisement
*আহমেদাবাদের বাভলা শহরে একটি গ্যাংয়ের পর্দাফাঁস করেছে পুলিশ, যারা নীরবে এবং পদ্ধতিগতভাবে কন্যা ভ্রূণ শনাক্ত করে এবং তারপরে রোগীদের বাড়িতে গিয়ে গর্ভপাত করে। গ্যাংয়ের অভিযুক্ত দু'জন হেমলতা দর্জি নামে এক নার্স এবং হর্ষদ আচার্য নামে একজন রেডিওলজিস্ট। দু'জনেই আহমেদাবাদ, আনন্দ ও ভদোদরায় সক্রিয় ছিলেন। প্রতীকী ছবি।
advertisement
advertisement
*আহমেদাবাদ গ্রামীণ পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "গোপনে এই অভিযান চালানো হচ্ছিল। এমনকি রোগীকে ক্লিনিকে পর্যন্ত যেতে হত না। গ্যাংয়ের সদস্যরা বাড়ি যেত রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতে এবং ঘটনাস্থলেই গর্ভপাত করত। গর্ভপাতের সময় যদি কোনও মহিলার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়, তবে হেমলতা দর্জি তাঁর পুরনো বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চুরি করা ওষুধই ব্যবহার করতেন সেই রক্ত বন্ধ করতে। প্রতীকী ছবি।
advertisement
*হর্ষদের কাজ ভ্রূণটি পুরুষ না নারীর তা শণাক্ত করা। পুলিশের এক অফিসার বলেন, এই চক্রে খুব সাবধানে কোডওয়ার্ড ব্যবহার করে কাজ করছিল। আচার্য যদি হেসে 'অববাদওয়াড়' বলেন, তার মানে ভ্রূণটি পুরুষ। কিন্তু তিনি যদি গম্ভীর হয়ে বলেন 'ঠিক আছে থাই জাসে' (সব ঠিক হয়ে যাবে), তার মানে ভ্রূণটি একজন নারীর। প্রতীকী ছবি।
advertisement
*পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই চক্রটি সবাইকে এই 'পরিষেবা' দেয় না। শুধু বিশ্বস্ত পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পুরো অভিযানের সময়, প্রতিটি ক্ষেত্রে ১৫,০০০ চার্জ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৭,০০০ হেমলতা দর্জিকে দেওয়া হত এবং বাকিটি টাকা আচার্য নিতেন। প্রায় দেড় বছর আগে আচার্য এই ব্যবসা শুরু করেন। প্রতীকী ছবি।
advertisement