নতুন করে গঙ্গার পাড়ের বেশ কিছু জায়গা তলিয়ে যাওয়ায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, গঙ্গার পাড় যেভাবে ভেঙে চলেছে, তাতে আগামী দিন গঙ্গার তীরবর্তী যে বাড়িঘর আছে, সমস্ত কিছুই গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যাবে। এক সময় ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ এই এলাকার গঙ্গা ভাঙনের কাজ করত। এখন কেন্দ্র সরকার ফরাক্কা ব্যারেজ গঙ্গা ভাঙনের কোনওরকম কাজ করছে না বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা চাইছেন স্থায়ী সমাধান। কারণ গঙ্গার পাড় যদি এখনই বাঁধন দেওয়া যায়ল তাহলে গঙ্গার তীরবর্তী বাসিন্দ্রারা শান্তি ভাবে বাস করতে পারবেন। না সব শেষ হতে সময় লাগবে না বলে তাঁদের দাবি।
advertisement
আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গে ‘এই’ জায়গায় আবার জারি করা হল হাই অ্যালার্ট! তবে এবার বৃষ্টি নয়, অন্যকিছুর আশঙ্কা। কী জেনে নিন
গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গঙ্গা হচ্ছে জাতীয় নদী। সেক্ষেত্রে গঙ্গা ভাঙন জাতীয় সমস্যা। ফরাক্কা ব্যারেজের উদাসীনতা কারণে কেন্দ্র সরকার গঙ্গার ড্রেজিং এর কাজ করে না। ফলে এলাকায় ভাঙন হচ্ছে। আগে কেন্দ্র সরকারের ফরাক্কা ব্যারেজ, ফরাক্কা থেকে জলঙ্গি পর্যন্ত ভাঙ্গন এলাকায় কাজ করত। এখন ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে ৭ কিলোমিটার আপ ও ৭ কিলোমিটার ডাউন স্ট্রিমে তারা কাজ করবে বলে জানাচ্ছেন। নয়নসুখে ভাঙনের খবর শুনে ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম সহ তৃনমূল নেতৃত্ব ভাঙ্গন এলাকায় গত দুইদিন আগে এসেছিলেন। তারপর ফরাক্কার ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করে এই বিষয়ে আলোচনা করেন বিধয়ক মনিরুল ইসলাম।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ফরাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার তিনি জানিয়েছেন, যে ৭ কিলোমিটার আপ ও ৭ কিলোমিটার ডাউন স্ট্রিমে ফারাক্কা ব্যারেজ কাজ করবে। তার বাইরে রাজ্য সরকার ভাঙনের কাজ করবে। তৃণমূলের বিধায়ক ফরাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজারকে বলেন, এটি একটি জাতীয় সমস্যা। কেন্দ্র সরকারকে এর সমাধান করতে হবে। তখন ফরাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার জানান, আগামী দিন ফরাক্কা থেকে জলঙ্গী পর্যন্ত একটি মাস্টার প্ল্যানের তৈরি করছে কেন্দ্র সরকার। তাতে গঙ্গা ভাঙনের সমাধান হবে বলে বিধায়ককে জানিয়েছেন বলে খবর।