ঘড়া ভর্তি সোনার কয়েনের একটি পরীক্ষা করে ওই ব্যক্তি বোঝেন তা আসল। তাই ওই ঘড়া ভর্তি কয়েন কিনতে একসঙ্গে ২৫ লক্ষ টাকা নিয়ে গুজরাট থেকে এ রাজ্যে হাজির হন তিনি। হাওড়ায় পা রাখার পর তাঁকে হাওড়া-আমতা শাখার মহেন্দ্রলাল দত্ত রেল স্টেশনে আনা হয়। নির্জন সেই স্টেশনে যাওয়ার মুহূর্ত পর্যন্তও বুঝতে পারেননি, তিনি প্রতারণার শিকার হতে চলেছেন। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে সমস্ত টাকা ছিনিয়ে নেয় প্রতারকের দল। ঘটনার তদন্ত করে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ উদ্ধার করেছে নগদ ২১ লক্ষ টাকা-সহ ৬০০-৭০০ নকল সোনার কয়েন। নকল সোনার মুদ্রা তৈরির বেশ কিছু সরঞ্জামের সঙ্গে তিন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মেজাজ হারিয়ে ভ্যানচালককে সপাটে চড়! মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু, হাওড়ায় চাঞ্চল্য
সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন ভাবে প্রতারিত করার লক্ষ্যে নতুন নতুন পথ অবলম্বন করে চলেছে প্রতারকেরা। প্রতারণার এবার নতুন কৌশল হাওড়ায়। মাটির নীচ থেকে পিতলের ঘড়া ভর্তি স্বর্ণমুদ্রা উদ্ধার। সেই মুদ্রা কম দামে কেনার লোভ দেখিয়ে প্রতারণার ছক কষেন প্রতারকের দল। আর সেই ফাঁদে পা দেন সুদূর গুজরাটের মোহম্মদ ইয়াসিন হানিফ মেনন। পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে প্রতারকদের একজন গুজরাটে কাজে গিয়ে আলাপ হয় ব্যবসায়ী মোহম্মদ ইয়াসিন হানিফ মেননের সঙ্গে। সেই আলাপের সুযোগ নিয়েই প্রতারণার ছক।
আরও পড়ুনঃ বছর শেষের রাতে খুন হন বেলুড়ের অজয়, ১০ বছর পর অভিযুক্তদের ‘যোগ্য’ সাজা শোনাল হাওড়া আদালত
ঘটনাটি ঘটে ৬ জুলাই। প্রতারকদের কাছ থেকে নিজে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে গত ৩১ জুলাই ওই ব্যবসায়ী হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের জগৎবল্লভপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে, শেখ রিজুয়ান, শেখ ওয়াসিম আক্রম এবং শেখ আলী হোসেন তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শেখ ওয়াসিম আক্রমের বাড়ি হাওড়ার পাঁচলার অন্তর্গত জুজারসাহা গ্রামে। শেখ রিজুয়ান ও আলী হোসেনের বাড়ি হুগলির জাঙ্গিপাড়ায়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরও উদ্ধার করেছে ২১ লক্ষ টাকা, কয়েন তৈরির সরঞ্জাম, একটি পিতলের পাত্র এবং বেশ কিছু সরঞ্জাম। সেই সঙ্গে দুটি আধার কার্ড, ড্রাইভারি লাইসেন্স এবং কয়েকটি বাইকের নম্বরও উদ্ধার হয়েছে।