ঘটনাটি ঘটেছে তমলুক শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। দাবি মত চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় শিক্ষকের স্ত্রী ও দুই শিশুকে বাড়ির ভেতরে থাকা অবস্থায় বাড়ির বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে রাখার অভিযোগ ওই পুজো কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতার পথ নাটক প্রশাসনের উদ্যোগে
তমলুক বিবেকানন্দ ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের কয়েকজন সদস্য চাঁদা সংগ্রহে বাড়ি বাড়ি যান৷ তাঁরা ওই শিক্ষকের বাড়ি গিয়েও চাঁদা চান৷ কিন্তু তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করায় ক্লাবের সদস্যরা শিক্ষকের পরিবারকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ৷ আরও অভিযোগ, শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে তাঁর স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে বাড়িতে তালাবন্দি করে রেখে চাঁদা আদায়কারীরা চলে যায় ৷
advertisement
রাজ্য জুড়ে প্রায় ৪৩ হাজার দুর্গা পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করছে রাজ্য সরকার। সেখানে এরকম দাবি মত চাঁদা না দেওয়ায় পুজো কমিটির জুলুমবাজির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তমলুকে।
আরও পড়ুন: সৈকতে আতঙ্ক! দিঘায় জোয়ারে ভেসে এল অজ্ঞাত পরিচয় মৃতদেহ
অভিযোগকারী শিক্ষক নাড়ুগোপাল সামন্ত জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না৷ ফিরে এসে দরজার তালা খুলে ঘরে ঢোকেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখানে ভাঁড়া থাকি৷
চাঁদার জন্য এরকম হামলা করবে সেটা ভাবতে পারিনি৷ সরকার তো পুজোর জন্য অনুদান দিচ্ছে, তারপরেও চাঁদা নিয়ে এই জুলুমবাজি কেন?’’ সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ ওই সময় দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন শিক্ষকের স্ত্রী জলি মুন্সি সামন্ত৷ তিনি বলেন, ‘‘২০১৬ সাল থেকে ভাড়া বাড়িতে থাকি৷
চাঁদা না দিলে বাড়ি থেকে উৎখাত করার হুমকি দেয়৷ সেই সঙ্গে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করতে থাকে৷ থানায় অভিযোগ জানিয়েছি৷’’ তমলুক থানার পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ঐ শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুজো কমিটি৷ বিবেকানন্দ ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের পুজো সভাপতি রতিকান্ত সিমলাই বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ৷ কোনও সত্যতা নেই৷'’
সৈকত শী





