তবে এবার সেই চিত্র বদলানোর আশা দেখছেন দাসপুরবাসী। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অন্তর্গত শিলাবতী নদী খননের কাজ শুরু হওয়ায় অনেকটাই আশাবাদী স্থানীয় মানুষ। প্রশ্ন উঠছে এই নদী খনন কি সত্যিই দাসপুরকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে?
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী, দাসপুর ব্লকের একাধিক এলাকায় নদী সংস্কার ও খননের কাজ ধাপে ধাপে এগোচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে দাসপুরের সুজানগর এলাকায় শিলাবতী নদী খননের কাজ বর্তমানে চলছে। নদীর তলদেশে জমে থাকা পলি সরিয়ে নদীর গভীরতা বাড়ানো হচ্ছে। যাতে বর্ষার সময় অতিরিক্ত জল সহজে নেমে যেতে পারে।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, আগে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই জল উপচে পড়ত। নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকত সর্বক্ষণ। কিন্তু এখন খননের কাজ শুরু হওয়ায় জলধারণ ক্ষমতা বাড়বে বলেই আশা করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! দাউদাউ করে জ্বলছে দোকানপাট, শহর জুড়ে চাঞ্চল্য
অনেকেই বলছেন, এই কাজ সম্পূর্ণ হলে হয়তো আর বারবার জল যন্ত্রণার শিকার হতে হবে না। যদিও আশার আলো দেখছেন দাসপুরবাসী, তবুও তাঁদের একাংশ চাইছেন, কাজ দ্রুত ও পরিকল্পনামাফিক সম্পূর্ণ হোক। কারণ অতীতে বহুবার কাজ শুরু হলেও তা দীর্ঘদিন অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দাসপুরের মানুষের দাবি, শুধু নদী খনন নয়, বাঁধের মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণও সমান জরুরি। তবেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রকৃত সুফল মিলবে। তবুও বর্তমানে সুজানগরে শিলাবতী নদী খননের কাজ চলায় আশাবাদী দাসপুরের মানুষজন।
তাঁদের বিশ্বাস, এই মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হলে বর্ষা মানেই আর আতঙ্ক নয়, বরং স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারবেন দাসপুরবাসী। এখন দেখার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের এই কাজ কত দ্রুত ও কতটা কার্যকরভাবে সম্পূর্ণ হয়, আর তা কতটা বদলাতে পারে দাসপুরের বন্যা-ভবিষ্যৎ।





