এই বিষয়ে কংসাবতী সাউথ ডিভিশনের ডিএফও দেবাশীষ শর্মা বলেন, গ্রামবাসীরা কিছুদিন আগেই জানিয়েছিল ভাল্লুকের উপস্থিতি কথা। গ্রামবাসীদের কথায় তদন্ত করে বেশ কিছু জায়গায় ভাল্লুকের পায়ের ছাপ মিলেছে।
এর পর বনদপ্তরের লাগানো ট্রাপ ক্যামেরায় এটি পূর্ণবয়স্ক ভাল্লুকের ছবি ধরা পড়েছে। মনে করা হচ্ছে জঙ্গলের ভেতরে ভাল্লুকের সংখ্যা আরো বেশি রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ভাল্লুকটির সঠিক বয়স ও ভাল্লুকটি পুরুষ না মহিলা তা বোঝা যায়নি।
advertisement
আরও পড়ুন- South 24 Parganas News: বারুইপুরের ঐতিহ্যময় স্থান ঘুরে দেখলেন থাইল্যাণ্ড ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা
পরবর্তীতে ট্রাপ ক্যামেরায় মাধ্যমে আরো ছবি ধরা পরলে ভাল্লুকটি পুরুষ না মহিলা তা স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে। আগামী দিনে ট্র্যাপ ক্যামেরার মাধ্যমে আরো অন্যান্য জায়গায় পশুর অস্তিত্ব আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২১/৪/২০২২ তারিখে বন দপ্তরের ট্র্যাপ ক্যামেরায় একটি মহিলা ও পুরুষ চিতা বাঘের ছবি ধরা পড়েছিল। তার কিছুদিন পরেই সিমনি-জাবর জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার গ্রামবাসীদের তোলা একটি চিতা শাবকের ছবি নেট মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল।
ভাইরাল হওয়া সেই ছবিকে ঘিরে শুরু হয়েছিল জল্পনা। তারপরেই বনদপ্তরের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের তোলা ছবির সত্যতা যাচাই করার জন্য সিমনি-জাবর জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় ট্র্যাপ ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল।
ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই আবারো ভাল্লুকের উপস্থিতি বনদপ্তরের ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ায় খুশি বনকর্তারা। বন্যপ্রাণীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে পুরুলিয়ার সিমনি-জাবর বনাঞ্চলকে বেছে নিচ্ছে তা পুরুলিয়া বাসীদের জন্য সত্যিই খুশির খবর বলে মনে করা হচ্ছে।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি