স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রামের আশপাশে চারটি কুকুর ঘোরাফেরা করছিল, যাদের মধ্যে দু’টি কুকুর আচরণে ছিল অতিমাত্রায় আক্রমণাত্মক। লোকজন দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ছিল। কামড়িয়েছে শিশু, মহিলা, পুরুষ— এমনকি গৃহপালিত হাঁস, মুরগি ও ছাগল পর্যন্ত। আতঙ্কে শুক্রবার থেকে অধিকাংশ বাসিন্দাই বাড়ির বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন, হাতে লাঠি নিয়েই বেরোচ্ছেন কেউ কেউ।
advertisement
বর্ষায় সাপ-খোপ ঢুকে পড়ছে ঘরে? বাড়ির চারপাশে লাগান এই ৫ গাছ, প্রাকৃতিক ভাবে মিলবে ‘রক্ষা কবচ’!
পাগলা কুকুরের আক্রমণে ত্রস্ত দাঁতনের বেতারুই গ্রাম, শিশু-সহ আহত ২২, গ্রামে নজরদারি ও চিকিৎসা তৎপরতা জোরদার
ঘটনার পর ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা একটি কুকুরকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন। তবে, শুক্রবার দুপুরের পর থেকে আরেকটি কুকুরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ঘটনার পর শুক্রবার দুপুরে এলাকায় পৌঁছান:
- দাঁতন-২ ব্লকের বিডিও অভিরূপ ভট্টাচার্য
- পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ ইফতিকার আলি
- জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিকরা
বিডিও জানান,
“গ্রামে ও আশপাশে থাকা সমস্ত কুকুরের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। যেসব কুকুর আক্রমণাত্মক আচরণ করছে, তাদের চিহ্নিত করে ডগ ক্যাচারের সাহায্যে ধরার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরপর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ইফতিকার আলি বলেন,
“আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য গ্রামেই অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হয়েছে। পাশাপাশি যাতে এমন ঘটনা আবার না ঘটে, সেই কারণে এলাকায় পুলিশের টহলদারি চলছে।”
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী জানিয়েছেন,
“কুকুরের কামড়ে আহতদের ভ্যাকসিনেশন ও অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ঘটনাস্থলে প্রশাসনের বিভিন্ন শাখা উপস্থিত থাকলেও বনদপ্তরের কেউ না পৌঁছনোয় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, কুকুর ধরা ও পরিবেশসংক্রান্ত জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় বনদফতরের সক্রিয়তা প্রয়োজন ছিল। এই মুহূর্তে গ্রামের মানুষজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে প্রয়োজন প্রশাসন ও জনসচেতনতামূলক পদক্ষেপ। একাধিক শিশু ও নাবালকের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় জেলাজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
শঙ্কর রাই