এই বিষয়ে ছট পুজো সমিতির এক সদস্য বলেন, এবছরও তাঁরা সমস্ত দিক থেকে ছট পুজোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসন ও পুরসভার পক্ষ থেকে সমস্ত দিক থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। পুজো শেষ হওয়ার পর প্রসাদ বিতরণেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে সমিতির পক্ষ থেকে। এছাড়াও থাকছে ভজন কীর্তনেরও ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয় জেলে, জন্মদিনে কাতলা-পাবদা খাওয়াল অনুগামীরা
advertisement
এই বিষয়ে পুরুলিয়ার পুরপ্রধান নব্যেন্দু মাহালী বলেন, পুরুলিয়া শহরে ছটপুজো একটি বড় উৎসব। ছটপুজোয় সব থেকে বেশি ভিড় হয় সাহেব বাঁধে। তাই ছটপুজো উপলক্ষে পুরুলিয়া পুরসভার পক্ষ থেকে সাহেব বাঁধ পরিষ্কার করা হচ্ছে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে। এরই পাশাপাশি বাঁশের ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে যাতে ব্রতীরা ঘাটে স্নান করতে পারেন, আহুতি দিতে পারেন। সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি ক্যাম্প থাকবে। এছাড়াও থাকবে মেডিকেল ক্যাম্প ও প্রশাসনের বসার ব্যবস্থা। শুধুমাত্র সাহেব বাঁধ নয়, বুচা বাঁধ, রাজা বাঁধও পরিষ্কার করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই বছর কাসাই নদীতেও ছট পুজোর জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে পুরসভার পক্ষ থেকে।
১৯৫৬ সালের আগে বিহারে অন্তর্ভুক্ত ছিল পুরুলিয়া জেলা। সেই সময় পুরুলিয়া জেলা মানভূম জেলা নামেই পরিচিত ছিল। ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর পুরুলিয়া জেলা পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়। জেলা বিভাগের পর এতগুলো বছর কেটে গেলেও এখনও পুরুলিয়া বয়ে নিয়ে চলেছে নিজের সেই পুরানো ঐতিহ্য। তাই রাজ্যের অন্যান্য জেলার তুলনায় পুরুলিয়ায় ছট উৎসব মহাসড়ম্বরের সাথে পালিত হয়।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি