পম্পা জোশেফ বলেন, “আমরা স্মার্ট মিটার বসাতে চাইনি। জোর করে বসিয়ে দিয়ে গেছে। এখন বিল দেখে মাথায় হাত। কি করে এক মাসে বারো হাজার টাকা দেব? সুশান্ত গুজরাটে থাকেন। বাড়িতে দুই মেয়ে নিয়ে থাকি। স্বামী গুজরাট থেকে মেল করে মুখ্যমন্ত্রী, বিদ্যুৎ মন্ত্রী, বিদ্যুৎ দফতরে চিঠি করে অভিযোগ জানিয়েছেন। আমরা চাই পুরোনো মিটার ফিরিয়ে দেওয়া হোক।”
advertisement
হুগলি রিজিয়ন বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওনাল ম্যানেজার মধুসূদন রায় গ্রাহকের কনজিউমার নম্বর সার্চ করে তথ্য নিয়ে জানান, স্মার্ট মিটার বসানোর পর ওই গ্রাহক ৫১৭ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করেছেন। আগের মিটারে ৮৪৪ ইউনিট বাকি ছিল।
পুরোনো বিল ব্যবস্থায় কোয়ার্টারলি অর্থাৎ তিন মাসের বিল একসঙ্গে করা হত। যে তিন মাস বিদ্যুৎ খরচ হত তার পরের তিন মাস সেই বিল দেওয়ার সুযোগ থাকত। এখন স্মার্ট মিটারে প্রতি মাসে বিল দিতে হবে। প্রথমবার বিলের ক্ষেত্রে যেহেতু বকেয়া বিদ্যুৎ খরচের হিসাব ধরা হচ্ছে তাই বেশি মনে হতে পারে।
আরও পড়ুন: পদ পেয়েও ভোলেননি পুরাতনকে! তিন তিনবারের পুরপ্রধান হয়েও কাপড় বেচে সংসার চালাচ্ছেন এই রাজনীতিক
সেক্ষেত্রে যদি কোনো গ্রাহক ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিসে আবেদন করেন, তিনি কিস্তির সুযোগ পাবেন। স্মার্ট মিটারে ভয় পাবার কিছু নেই। বিদ্যুৎ দফতরের নির্দিষ্ট অ্যাপে লগইন করে সব তথ্য পাবেন গ্রাহক। বুঝতে অসুবিধা হলে বিদ্যুৎ দফতরে গিয়েও খোঁজ নিতে পারেন।
রাহী হালদার





