মৃত্যু হল এক তরুণীর। মৃতার নাম সুচরিতা বেরা (২৬)। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ১১ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায়। ওইদিন সন্ধ্যায় কাশীপুর এলাকায় কালীপুজো উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল এক শোভাযাত্রা। পাড়া জুড়ে ছিল আনন্দ, হুল্লোড়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সবাই যখন উৎসবের আবহে ডুবে ছিলেন, তখনই হঠাৎই ঘটে যায় অঘটন। সুচরিতা কিছুক্ষণ নাচার পর বিশ্রাম নিতে এগিয়ে যান অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত এক জেনারেটর ভ্যানের দিকে। সেই সময় আচমকাই চলন্ত জেনারেটরের ফ্যানে তাঁর ওড়না এবং পরে চুল আটকে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই টেনে নেয় মেশিন, গুরুতরভাবে আহত হন সুচরিতা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে ডাক পড়ল যমের! বাইক নিয়ে সোজা লরিতে ধাক্কা, অকালে গেল যুবকের প্রাণ
চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষজন ও স্থানীয় পুলিশ তড়িঘড়ি উদ্ধার করে তাঁকে তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া। উৎসবের আলো নিভে যায় মুহূর্তে। মৃতার মামা সুজিত মাইতি বলেন, “তমলুক কোর্টে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎই বাড়ি থেকে ফোন আসে দুর্ঘটনার খবর। হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি, ভাগ্নি আর নেই। আমরা সবাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।”
মৃত সুচরিতা কলকাতায় ফার্মাসিস্ট পড়তেন। তাঁর বাবা রবীন্দ্রনাথ বেরা রাজ্যের নবান্ন ভবনে গ্রুপ-ডি কর্মী হিসাবে কর্মরত। পরিবারের রবীন্দ্রনাথ স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে থাকতেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সামনেই সুচরিতার বিয়ে ছিল। তার আগেই এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন তিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই ঘটনার পর এলাকাবাসীরা পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সুচরিতা পড়াশোনার পাশাপাশি যোগ ব্যায়াম-সহ বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যস্ত থাকতেন। এলাকার ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের যোগব্যায়াম শেখানো থেকে কবিতা আবৃত্তি শেখানো সবেতেই এগিয়ে ছিলেন।
এমন স্বভাবের মেয়ের এই মর্মান্তিক মৃত্যু সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। এমন আনন্দঘন মুহূর্তে এই ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটবে, তা কেউই ভাবতে পারেনি। এদিকে ঘটনাটির তদন্তে নেমেছে তমলুক থানার পুলিশ। কী ভাবে এমন দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এমনটাই জানিয়েছে তমলুক থানার পুলিশ।






