TRENDING:

East Medinipur News: পাড়ার কালীপুজোর শোভাযাত্রায় বেরিয়ে কী সর্বনাশ! জেনারেটরের ইঞ্জিনে চুল জড়িয়ে শেষ তরুণী, সামনেই ছিল বিয়ে

Last Updated:

East Medinipur News: পুজোর শোভাযাত্রায় মর্মান্তিক পরিণতি তমলুকের এক তরুনীর। জেনারেটরের ইঞ্জিনে মাথার চুল জড়িয়ে প্রাণ গেল। ঘটনাস্থলেই মারা যান তরুণী। আনন্দের মাঝেই শোকের ছায়া তমলুকের কাশীপুরে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর, সৈকত শী: পুজোর শোভাযাত্রায় মর্মান্তিক পরিণতি এক তরুনীর। মাথার চুল জড়িয়ে গেল জেনারেটরের ইঞ্জিনে। ঘটনাস্থলে মারা যান ওই তরুণী। আনন্দের মাঝেই শোকের ছায়া নেমে এল। এলাকায় কালী পুজো শুরু হয়েছে। কালীপুজোর ঘট উত্তোলনের শোভাযাত্রা বেরিয়েছে। এলাকা জুড়ে সবাই সেই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছে। শোভাযাত্রায় আলোর জন্য কালীপুজোর উৎসবে মেতে থাকা তমলুকের কাশিপুর এলাকায় ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
সুচরিতা বেরা
সুচরিতা বেরা
advertisement

মৃত্যু হল এক তরুণীর। মৃতার নাম সুচরিতা বেরা (২৬)। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ১১ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায়। ওইদিন সন্ধ্যায় কাশীপুর এলাকায় কালীপুজো উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল এক শোভাযাত্রা। পাড়া জুড়ে ছিল আনন্দ, হুল্লোড়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সবাই যখন উৎসবের আবহে ডুবে ছিলেন, তখনই হঠাৎই ঘটে যায় অঘটন। সুচরিতা কিছুক্ষণ নাচার পর বিশ্রাম নিতে এগিয়ে যান অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত এক জেনারেটর ভ্যানের দিকে। সেই সময় আচমকাই চলন্ত জেনারেটরের ফ্যানে তাঁর ওড়না এবং পরে চুল আটকে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই টেনে নেয় মেশিন, গুরুতরভাবে আহত হন সুচরিতা।

advertisement

আরও পড়ুনঃ শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে ডাক পড়ল যমের! বাইক নিয়ে সোজা লরিতে ধাক্কা, অকালে গেল যুবকের প্রাণ

চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষজন ও স্থানীয় পুলিশ তড়িঘড়ি উদ্ধার করে তাঁকে তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

advertisement

View More

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া। উৎসবের আলো নিভে যায় মুহূর্তে। মৃতার মামা সুজিত মাইতি বলেন, “তমলুক কোর্টে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎই বাড়ি থেকে ফোন আসে দুর্ঘটনার খবর। হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি, ভাগ্নি আর নেই। আমরা সবাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।”

আরও পড়ুনঃ কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের সঙ্গে লড়াই! প্রাণ হাতে ফিরলেন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, পাথরপ্রতিমায় লোকের মুখে মুখে ঘুরছে গণেশের সাহসের কাহিনি

advertisement

মৃত সুচরিতা কলকাতায় ফার্মাসিস্ট পড়তেন। তাঁর বাবা রবীন্দ্রনাথ বেরা রাজ্যের নবান্ন ভবনে গ্রুপ-ডি কর্মী হিসাবে কর্মরত। পরিবারের রবীন্দ্রনাথ স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে থাকতেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সামনেই সুচরিতার বিয়ে ছিল। তার আগেই এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন তিনি।

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

advertisement

এই ঘটনার পর এলাকাবাসীরা পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সুচরিতা পড়াশোনার পাশাপাশি যোগ ব্যায়াম-সহ বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যস্ত থাকতেন। এলাকার ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের যোগব্যায়াম শেখানো থেকে কবিতা আবৃত্তি শেখানো সবেতেই এগিয়ে ছিলেন।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
আমঘাটা স্টেশন পরিদর্শনে রেলের ADRM, নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত চালু হবে রেল পরিষেবা?
আরও দেখুন

এমন স্বভাবের মেয়ের এই মর্মান্তিক মৃত্যু সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। এমন আনন্দঘন মুহূর্তে এই ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটবে, তা কেউই ভাবতে পারেনি। এদিকে ঘটনাটির তদন্তে নেমেছে তমলুক থানার পুলিশ। কী ভাবে এমন দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এমনটাই জানিয়েছে তমলুক থানার পুলিশ।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Medinipur News: পাড়ার কালীপুজোর শোভাযাত্রায় বেরিয়ে কী সর্বনাশ! জেনারেটরের ইঞ্জিনে চুল জড়িয়ে শেষ তরুণী, সামনেই ছিল বিয়ে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল