দিঘায় আয়োজিত এই সেমিনারে সারা ভারতবর্ষ থেকে হ্যাঙ্গুং খেলার রেফারি ও প্রশিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন। এই শিবিরে তাঁদের বাছাই করা হয় এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য ছিল খেলাটির নিয়ম, কৌশল ও আন্তর্জাতিক মান সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেওয়া।
আরও পড়ুনঃ জঙ্গলঘেঁষা চা বাগানে লেপার্ড আতঙ্ক! ড্রোন উড়িয়ে প্যান্থারের গতিবিধিতে নজরদারি চালাচ্ছে বনদফতর
advertisement
শুধু হ্যাঙ্গুং নয়, একই সঙ্গে তাইকোয়ানডো বিষয়েও একটি বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। আগ্রহী খেলোয়াড় ও প্রশিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। সমুদ্রের ধারে এমন আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ শিবির দিঘার ক্রীড়া ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় যোগ করে।
এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক মানের হ্যাঙ্গুং প্রতিনিধিরা। তাঁরা সরাসরি রেফারি ও প্রশিক্ষকদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেন। তাঁদের অভিজ্ঞতা ও দিকনির্দেশনা ভারতীয় খেলোয়াড়দের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুনঃ ভোট আসে ভোট যায়, কিন্তু ভোগান্তি যায় না! লোহাদহ ঘাটে ঝুঁকির যাত্রা, সেতুর দাবি বাসিন্দাদের
অনুষ্ঠানে বহু খুদে খেলোয়াড়ের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ছোট ছোট শিশু থেকে শুরু করে তরুণ খেলোয়াড়রা হ্যাঙ্গুং খেলার প্রতি নিজেদের আগ্রহ ও দক্ষতা তুলে ধরেন। সকলের লক্ষ্য একটাই-আগামী অলিম্পিকে হ্যাঙ্গুং খেলায় ভারতের পতাকা উঁচু করা। সেই স্বপ্নকে সামনে রেখেই এই প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে খেলোয়াড়রা দিঘায় ছুটে আসেন। এই অনুষ্ঠানে হ্যাঙ্গুং-এর এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার এবং ওয়ার্ল্ড তাইকোয়ানডোর শীর্ষ কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটির গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তোলে। তাঁরা ভারতীয় খেলোয়াড়দের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেন। সারা ভারত থেকে প্রতিনিধিদের বেছে নেওয়া হয়।
ভবিষ্যতে তাঁদের মাধ্যমেই হ্যাঙ্গুং খেলার বিস্তার ঘটানো হবে। লক্ষ্য একটাই, আগামী অলিম্পিকের নির্বাচনে যেন দেশের স্থানীয় প্রতিভাবান ছেলেমেয়েরাই সুযোগ পান। দিঘা থেকে শুরু হওয়া এই যাত্রা যে ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে, তা বলাই যায়।





