স্পর্শ কখনও কখনও নিছক ছোঁয়া, আবার স্পর্শ কখনও কখনও নিছক ছোঁয়া নয়। তার মধ্যে থাকে বিকৃতি বা দুরভিসন্ধি। পড়ুয়াদের ভাল-খারাপ স্পর্শের পার্থক্য বোঝাতে বেসরকারি কিছু স্কুলে উদ্যোগ দেখা গেলেও, সরকার বা সরকার পোষিত স্কুলগুলি এ ক্ষেত্রে খানিকটা পিছিয়ে ছিল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একটি বিদ্যালয়ে এই সম্পর্কে সচেতন করা হল। গুড টাচ হল এমন স্পর্শ যা আরামদায়ক ও নিরাপদ অনুভূতি দেয়, যেমন বাবা-মায়ের আদর, শিক্ষকের স্নেহ বা বন্ধুর আলিঙ্গন। অন্যদিকে, ব্যাড টাচ হল এমন স্পর্শ যা অস্বস্তিকর, ভীতিকর বা লজ্জার অনুভূতি তৈরি করে, যেমন চিমটি কাটা, আঘাত করা বা গোপনাঙ্গ স্পর্শ করা। আর তাই শিশুদের শেখান হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ফের বাঘের দেখা…! শীতের শুরুতেই তিন-তিন বার দর্শন দিলেন ‘রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার’
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার কনকপুর মক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও অভিভাবকদের নিয়ে সংঘটিত হয় গুড টাচ এবং ব্যাড টাচ সম্পর্কিত সচেতনতা শিবির, উপস্থিত ছিলেন পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক, এলাকার আশা কর্মী, স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষিকাগন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিহির শাসমল জানান, “এদিন এই সচেতনতা শিবিরে অংশ নিয়েছিল তৃতীয় শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীরা এবং তাদের অভিভাবকরা। শিশুর শৈশব যাতে সুরক্ষিত থাকে, কোনওভাবে যাতে নিপীড়িত না হয়, সেই উদ্দেশ্যেই এই ধরনের সচেতনতা শিবির। শৈশব থেকে শিশুরা যদি ভাল ও খারাপের স্পর্শ সম্পর্কে অবগত থাকে তাহলে শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়ন অনেকটাই কমবে।”
আরও পড়ুন: বাংলার গর্ব! রেকর্ড বুকে নাম তুললেন বাঁকুড়ার সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা
স্কুলের ছাত্রীদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও এ বিষয়ে সচেতন করা হয়। অভিভাবকরা যদি এ বিষয়ে সচেতনতা না দেখান বা এমন ঘটনা ঘটলে শুধু বিষয়টিকে গোপন রাখার বিষয়ে জোর দেন শিশুর মনে নেতিবাচক মনোভাব বা ট্রমা হিসেবে রয়ে যেতে পারে। ভারত সহ গোটা বিশ্বেই শিশুরাই যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। তাই স্কুলে শিশুদের শিশুদের ভাল এবং খারাপ করছে বিষয়ে অবগত করার কাজ শুরু হয়েছে। বেসরকারি স্কুলগুলিতে এ বিষয়ে সচেতনতা লক্ষ্য করা যায়। এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার কনক পুরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভাল এবং খারাপ স্পর্শের বিষয়ে শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন করা হয়।





