চাকরি খোঁজার বদলে এই যুবক একের পর এক সাইকেল চুরির মত অপরাধে হাত পাকাচ্ছিলেন। এবার তাঁকে এই অপকর্মের ফল ভুগতে হল। সাইকেল চুরির অভিযোগে এগরা থানার পুলিশ মানসকে গ্রেফতার করে কাঁথি আদালতে তোলে। বিচারক তাঁর অপরাধের গুরুত্ব বুঝে ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুনঃ কাকা শ্বশুরকে বাবা সাজিয়ে ভোটার লিস্টে নাম! ছাব্বিশের ভোটের আগেই ফাঁস ‘বাংলাদেশি’র কীর্তি
advertisement
এদিকে তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারে পুলিশ। একটি-দু’টি নয়, সরকারি সবুজ সাথী সাইকেল-সহ অসংখ্য সাইকেল চুরি করেছেন এই যুবক। কাঁথি ও এগরা থেকে তাঁর চুরি করা একাধিক সাইকেলও উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে তাঁর চুরির কৌশল সম্পর্কে জানায়।
জানা যাচ্ছে, মানস বেশ ‘কৌশলী’ ছিলেন। বাজারে কেউ সাইকেল রেখে গেলে বা কোনও ছাত্র-ছাত্রী সাইকেল রেখে টিউশন পড়তে গেলে, এমনকি বাড়ির উঠোনে নিরাপদে রাখা সাইকেলের তালাও তিনি ভেঙে দিতেন। কেউ টের পাওয়ার আগেই চোখের পলকে গায়েব হয়ে যেত সাইকেল।
আরও পড়ুনঃ বুলা চৌধুরীর পর নাট্যশিল্পীর বাড়িতে চুরি! টাকা-গয়না গায়েব, এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির মালিক বা টিউশন ফেরত শিক্ষার্থীরা দেখতেন তাঁদের সাইকেল নেই। মানসের এই ‘কৌশলী’ চুরি বিদ্যা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি করেছিল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মানসের এই ঘটনা বর্তমান সমাজের এক করুণ দিকও তুলে ধরে। যে বয়সে তাঁর জ্ঞান, মেধা ও শারীরিক শক্তি কোনও সৃষ্টিশীল কাজে লাগানো উচিত ছিল, সেটা সে ভুল পথে চালিত করে অপরাধীর খাতায় নাম তুলেছে। অথচ সঠিক দিশা পেলে হয়তো আজ তাঁকে পুলিশের হাতে বন্দি থাকতে হত না। মানসের এই ভুল সিদ্ধান্ত কেবল তাঁর একার জীবন নষ্ট করেনি, বরং তাঁর পরিবার ও সমাজের কাছেও এক লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগরা থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবককে মঙ্গলবার কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হবে।