বাবার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন কাঞ্চন। কিন্তু ভুলবশত অন্য ট্রেনে উঠে পড়ায় পথ হারিয়ে ফেলেন মা ও মেয়ে। টানা তিন দিন বিভিন্ন ট্রেনে ঘোরাঘুরির পর তাঁরা দিঘাগামী একটি ট্রেনে চেপে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার স্টেশনে নামেন। এরপর নরঘাট এলাকায় উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখে স্থানীয়রা সন্দেহ প্রকাশ করে। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় কাঞ্চন দেবী তেমন কিছু বলতে পারেননি। পুলিশ মানবিক উদ্যোগে মা ও মেয়েকে তমলুকের নিমতৌড়ির তমলুক উন্নয়ন সমিতির ভগিনী নিবেদিতা শক্তিসদন হোমে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সুস্থ করে বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : কুকুর নিয়ে আবার ‘কেলেঙ্কারি’ গয়েশপুর নেতাজি বিদ্যালয়ে! সারমেয়র নামে থানায় অভিযোগ, তদন্তে ছুটল পুলিশ
স্ত্রীকে আবার ফিরে পেয়ে স্বামী অজয় রাম বলেন, “মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি ঝাড়খণ্ডের পালজরি যাওয়ার পথে ভুল ট্রেনে উঠে হারিয়ে গিয়েছিল কাঞ্চন। এত দূরে এসে পড়বে ভাবিনি। ওদের ফিরে পেয়ে খুবই খুশি।” হোমের সাধারণ সম্পাদক যোগেশ সামন্ত জানান, নন্দকুমার থানার পুলিশের ভূমিকা এই ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমাদের হোমে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মহিলাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়। কাঞ্চন দেবীর মত আরও অনেক মহিলাকে আমরা সুস্থ করে তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি এটাই আমাদের সাফল্য।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
২২ জুলাই ২০২৫ সালে মা ও মেয়েকে ওই হোমে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসা ও নিয়মিত কাউন্সেলিংয়ের পর ধীরে ধীরে কাঞ্চন দেবী সুস্থ হয়ে ওঠেন। স্মৃতিশক্তি কিছুটা ফিরে এলে তিনি নিজের নাম, ঠিকানা ও পরিবারের তথ্য দিতে সক্ষম হন। এরপর হোম কর্তৃপক্ষ ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর পরিবারের অবস্থান নিশ্চিত করে। প্রায় দুই মাস ধরে আইনি ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর ভিডিও কলে কাঞ্চনের স্বামী অজয় রাম ও ভাই অনিল কুমারের সঙ্গে কথা হয়। অবশেষে বুধবার মা ও মেয়েকে তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল।





