পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের কেলেঘাই নদীর পাড়ে এখন রঙিন ছবি ধরা পড়ছে। নদীর চরে সারাদিন দেখা যাচ্ছে নানা রকম পাখির ওড়াউড়ি। এ বছর কেলেঘাই নদীর ধারে এসেছে সাইবেরিয়ান ক্রেন। বাংলায় যাদের বলা হয় শামুকখোল। এরা শামুক খায়, আবার মাছও খেতে ভালবাসে। সাধারণত এরা দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায়। নদীর পাড়, খাল-বিল আর নির্জন চর-সব জায়গাতেই দেখা যায় তাদের উপস্থিতি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ভাইরাল হতেই দাম বেড়ে দ্বিগুণ! বছর শেষের নয়া ট্রেন্ড ‘বানি ইয়ার মাফস’, মালামাল হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা
পাশাপাশি এসেছে জলপিপি পাখির দলও। জলাশয়ের ধারে এরা অবাধে হাঁটে। দরকারে শালুকপাতা–পদ্মপাতার উপর দিয়েও দিব্যি হেঁটে চলে। শীত নামতেই নদীর ধারে তাদের ডাক ভেসে আসে সারাক্ষণ। এলাকায় প্রকৃতির শান্ত পরিবেশ আরও সতেজ হয়ে উঠেছে পাখিদের আনাগোনায়।
প্রতিবছরের মতো এবারও নিয়ম মেনে কেলেঘাই–বাঘুই নদীর পাড়ে ভিড় জমিয়েছে পরিযায়ী পাখির দল। ভোরবেলায় আকাশে উড়ে আসতে দেখা যায় তাদের। তারপর সারাদিন নদীর চরে খাবার খুঁজে বেড়ায় পাখিরা। সন্ধে নামলেই আবার দল বেঁধে ফিরে যায়।
এক স্থানীয় বাসিন্দা জয়দেব করণ বলেন, “এ দৃশ্য দেখতে আমরা সারা বছর অপেক্ষা করি। পাখিরা এলেই নদীর ধারে আলাদা পরিবেশ তৈরি হয়। মনে হয় শীত সত্যিই চলে এসেছে।” তবে আনন্দের পাশাপাশি দুশ্চিন্তাও বেড়েছে।
জীববৈচিত্র্য বিশেষজ্ঞ ড. সুদীপ্ত ঘোড়াই বলেন, “এ বছর পাখির সংখ্যা স্পষ্টভাবে কম। নদীর ধারে গাছ কেটে বসতি স্থাপনে কমছে পাখিদের আশ্রয়স্থল। প্রজনন ও বিশ্রামের জায়গা নষ্ট হচ্ছে। দূষণও দ্রুত বাড়ছে, যার ফলে জল ও পরিবেশ পাখির জন্য নিরাপদ থাকছে না। এই পরিস্থিতি চললে ভবিষ্যতে আরও কমে যাবে অতিথি পাখির সংখ্যা।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় বাসিন্দারাও একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, আগে নদীপাড় ভরে উঠত শামুকখোল আর জলপিপির দলে। এখন সেই দৃশ্য অনেকটাই কম। তবুও এই সময়টুকু প্রকৃতির এই অতিথিদের দেখার আনন্দে ভরে রয়েছে কেলেঘাই নদীর পাড়।





