দর্শকরা তাঁর নাচ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বারবার। মুহুর্মুহু করতালি এসেছে দর্শক আসন থেকে। নিজের জেদকে কাজে লাগিয়ে নাচকেই নিজের অক্সিজেন করে তুলেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার অনুকনা পাল। দীর্ঘ চার দশক ধরে তিনি নাচ শেখাচ্ছেন। ছোট ছোট শিশুদের হাতে ধরে নাচের প্রথম পাঠ দিয়েছেন। কখনও ক্লান্ত হননি। কখনও থেমে যাননি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ হাড় কাঁপানো ঠান্ডার মাঝে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি! আরও নামবে পারদ, নিউ ইয়ারে দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা
আজ তাঁর বয়স প্রায় ৫৫ বছর। তবুও তাঁর উদ্যমে কোনও ভাঁটা পড়েনি। এখনও একই নিষ্ঠা নিয়ে তিনি নাচ শেখান। প্রতিদিন নিয়ম করে ক্লাস নেন। শিশুদের সঙ্গে মিশে যান সহজেই। তাঁর শেখানোর ধরণ খুব সহজ। শিশুদের মন বুঝে তিনি নাচ শেখান। সেই কারণেই ছাত্রছাত্রীদের কাছে তিনি শুধু শিক্ষিকা নন। তিনি তাঁদের প্রিয় ‘নাচের দিদিমণি’।
বর্তমানে তাঁর কাছে প্রায় ৫০০ জন ছাত্রছাত্রী নাচ শিখছে। এলাকার বহু ছেলে-মেয়ে তার কাছে নাচ শিখে আজ নিজেদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত। কেউ শিক্ষক হয়েছে। কেউ শিল্পী হয়েছে। কেউ আবার অন্য পেশায় যুক্ত। তবুও সবাই আজও তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। অনেকেই বলেন, অনুকনা পাল তাঁদের জীবনে অনুপ্রেরণা। শুধু নাচ শেখাননি তিনি। শিখিয়েছেন আত্মবিশ্বাস। শিখিয়েছেন লড়াই করতে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দেখে দেখে নাচ শিখেও যে এত বড় পথ পাড়ি দেওয়া যায়, তা তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন। ইচ্ছে থাকলে যে সবই সম্ভব, সেটাই তাঁর জীবনের শিক্ষা। কোনও বড় মঞ্চ বা প্রতিষ্ঠানের সাহায্য ছাড়াই তিনি গড়ে তুলেছেন শত শত নৃত্যশিল্পী। তাঁর জেদি মনোভাব আজ এলাকার মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা। নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি এক জীবন্ত উদাহরণ। নাচকে ভালবেসে, লড়াই করে এগিয়ে যাওয়ার গল্পই আজ অনুকনা পালের জীবনকথা।





