Inspiring Story: নারী-পুরুষ ভেদাভেদ ভুলে সংসারের হাল ধরেছেন! সুবর্ণরেখায় ভেসে সামান্য উপার্জন, তা দিয়েই নুন-ভাতে দিন গুজরান
- Reported by:Ranjan Chanda
- hyperlocal
- Published by:Aishwarya Purkait
Last Updated:
West Medinipur Inspiring Story: নারী পুরুষের ভেদাভেদ ভুলে সংসার টানতে কাজল নায়েক এখনও নাও বায়। নদীতে নেমে, হাল ধরে যেটুকু আয় হয় তাতে চলে গোটা সংসার।
কেশিয়াড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুর, রঞ্জন চন্দ: নারী পুরুষের অধিকার নয়, নয় নিজেকে জাহির করার জায়গা। সমাজের চোখে বাস্তবতায় আর যাই হোক না কেন, সংসার চালাতে তার কাছে এটাই ছিল ভরসা। বাড়ির বড় মেয়ে সে। বাবার সঙ্গে সংসার চালানো ও অন্যান্য বোনেদের মানুষ করে তুলতে সে একমাত্র অভিভাবক। তাই সকালে সামান্য শুকনো মুড়ি খেয়ে বের হয়, সারাদিন নাও বায়। বিকেলে ফিরে তারপর ভারী খাবার। সারাদিন ঠান্ডা হোক কিংবা গরম নদীর এক পাড়ে বসে থাকেন সামান্য রোজগারের আশায়। সারাদিনে দু’একশ হলেই, সামান্য নুন ভাতেই দিন গুজরান করতে হয় তাদের।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে আস্তে আস্তে দাগ কাটছে নারীরা। সংসারের চাকা টানতে দাঁতে দাঁত পিষে লড়াই করে মেয়েরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির আটাঙ্গা গ্রামে শ্রীকান্ত নায়েকের বড় মেয়ে কাজল নায়েক। প্রায় ৩৪ বছর বয়স কাজলের। বাবা, মা, বোনের দায়িত্ব মাথায় তুলে নিয়েছেন কাজল।লড়াইটা শুরু হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। যখন ধীরে ধীরে সমাজ, সংসার দায়িত্বটাকে বুঝতে পারলেন। কতটা দায় কতটা দায়িত্ব থাকে সংসারে বড়দের উপর, তা উপলব্ধি করলেন কিছুটা বড় হতেই।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শীতের রাতে গৃহস্থের বাড়িতে সিনেমায় কায়দায় চুরি! অন্তর্বাস টুকুও বাদ দিল না নিশি কুটুম্বরা
পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলের কাজল নায়েক। কাজল নারী পুরুষের অধিকার নিয়ে লড়াই করেন না। বরং দাঁতের দাঁত চিপে মনকে শক্ত করে ধরে নৌকোর হাল। জলে ভেসে ভেসে রোজগার করা তার একমাত্র জীবিকা। জীবন বাঁচাতে জীবনের অধিকাংশটা সময়ে শান্ত সুবর্ণরেখার জলে নৌকা ভাসায়।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির রাজপথে মালদহের দুই ‘সু-কন্যা’! জোড়া সাফল্যে গর্বে বুক চওড়া জেলাবাসীর
কাজল বোঝেনা বিলাসিতা। চোখে মুখে স্পষ্ট সংসারের চাপ। সামান্য রোজগারে চালাতে হবে গোটা দিনের খরচ। সে জানে,তার কষ্টই এনে দেবে বাবার ওষুধ। সংসার চালানো, ওষুধের খরচ, ছোট বোন বাড়িতে, কে চালাবে সব। বৃদ্ধ বাবার পাশাপাশি প্রতিদিন পর্যটকদের ঘুরিয়ে দেখান নৌকায় করে। দিনে দু একশ কামাই করতে এই শীতেও মাথায় ঘাম পায়ে ফেলতে হয়। তবে দমে যাননি, দমাতে পারেনি কষ্টও। নৌকা চালিয়ে সংসারের হাল ধরেছেন বাড়ির বড় মেয়ে কাজল।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সংসারে হাল টানতে নৌকা নিয়েই সকাল থেকে বের হন কাজল। সামনে রয়েছে জঙ্গলকন্যা সেতু।যেটুকু পর্যটক আসে, নৌকাবিহারে যা অর্থ হয় সেটা দিয়ে সংসার চলে নায়েক পরিবারের। শ্রীকান্ত বাবুর বড় মেয়ে কাজল আগে ইটভাটায় কাজ করতেন। কখনও যেতে হয় দিনমজুরির কাজে। নারী পুরুষের ভেদাভেদ ভুলে সংসার টানতে কাজল এখনও নাও বায়। নদীতে নেমে, হাল ধরে যেটুকু জুটে তাতে চলে গোটা সংসারের খরচ। তবে জঙ্গলমহলের এই মেয়ের প্রতিদিনের পরিশ্রম এবং লড়াই গোটা সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত।।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Paschim Medinipur,West Bengal
First Published :
Dec 30, 2025 12:47 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Inspiring Story: নারী-পুরুষ ভেদাভেদ ভুলে সংসারের হাল ধরেছেন! সুবর্ণরেখায় ভেসে সামান্য উপার্জন, তা দিয়েই নুন-ভাতে দিন গুজরান







