TRENDING:

East Medinipur News: স্বাধীনতার আগে তৈরি খাগদা অনাথ আশ্রম! জরাজীর্ণ ভবনে হাসি মুখে ৩৮ অনাথ শিশুর জীবনযাপন, চোখে দিন বদলের আশা

Last Updated:

East Medinipur News: স্বাধীনতার আগে তৈরি হওয়া একটি অনাথ আশ্রম। জরাজীর্ণ অবস্থা ভবনের। সেখানেই বাস ৩৮ জন অনাথ শিশুর। তবুও কোনও আক্ষেপ নেই শিশু মনে। সবুজের আঙিনায় সবটাই তারা মানিয়ে নিয়েছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
এগরা, পূর্ব মেদিনীপুর, মদন মাইতি: এগরা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ছোট্ট একটি গ্রাম খাগদা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ নম্বর ব্লকের এই গ্রামেই স্বাধীনতার ঠিক আগেই তৈরি হয়েছিল এক অনাথ আশ্রম। গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবী রমণিমোহন মাইতির দান করা সাড়ে চার বিঘে জমির উপর তৈরি হয় আশ্রমের প্রথম ভবন। তখন চারদিকে শুধুই কাঁচা রাস্তা। বিদ্যুৎ ছিল না। খুব সীমিত সুযোগ–সুবিধার মধ্যেই শুরু হয় খাগদা‌ শিশু সদনের পথচলা। তারপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ কয়েক দশক। এখনও সেই মাটির দোতলা বাড়ি আর টালির ছাউনির মধ্যেই নিজেদের মতো করে হাসিখুশিতে দিন কাটাচ্ছে আশ্রমের ৩৮ জন আবাসিক।
advertisement

বর্তমানেও আশ্রমের আবাসিকরা থাকে জরাজীর্ণ দোতলা মাটির বাড়িতে। দেওয়াল ফাটল ধরা। টালির ছাউনি বহু জায়গায় নষ্ট। বৃষ্টি হলে জল চুঁইয়ে পড়ে। বাঁশের চাদরেই ঠেকান ছাদের ভার। তবুও এখানেই থাকে মোট ৩৮ জন শিশু। তাদের দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে মাটির এই জরাজীর্ণ ঘর, আঙিনা আর আশেপাশের সবুজ মাঠে।

আরও পড়ুনঃ  গানেই মেলে দৃষ্টি! চলে ৬ জনের সংসার, অন্ধ তরণীর জীবনযুদ্ধ চোখে জল আনবে আপনার

advertisement

পড়াশোনা হয় পাশের খাগদা পল্লীশ্রী হাইস্কুল এবং খাগদা নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে। আধুনিক কোনও পরিষেবায় নেই। বহু বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় পরিকাঠামো আরও ভগ্নদশায় পৌঁছেছে। তবুও আবাসিকের মধ্যে কোনও আক্ষেপ নেই। সবটাই তারা মানিয়ে নিয়েছে।

View More

আরও পড়ুনঃ IPL-এর ধাঁচে গুসকরা প্রিমিয়ার লিগ! মাঠে ছক্কা হাঁকালেই পোঁতা হবে গাছ! দুঃস্থ পড়ুয়াদের মিলবে বই খাতা, ১ মাসের জমজমাট টুর্নামেন্ট

advertisement

আশ্রম চালাতে নিত্যদিন লড়াই করতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। শিশু সদনের ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেন্ডেন্ট গৌরহরি পাত্র জানালেন, “ছেলেমেয়েদের খাবার জোগানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। নিজেদের বাগানে আনাজ চাষ করি। পুকুরে মাছ চাষও করি। কিন্তু তাতেও সবটা সামলান যায় না।” বাইরে থেকে সাহায্য কমে গিয়েছে। সরকারি অনুদানও খুব সীমিত। অসুস্থ হলে কাছাকাছি কোনও ভাল চিকিৎসা কেন্দ্র নেই। একমাত্র ভরসা স্থানীয় হাতুড়ে ডাক্তার।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

তবুও আশ্রমের আবাসিকরা আশা হারায়নি। গ্রামীণ পরিবেশ তাদের মনকে স্বস্তি দেয়। নিজেরাই তৈরি করেছে বাগান। সকালে উঠেই তারা কাজে লেগে পড়ে। কেউ বাগানে জল দেয়। কেউ পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা করে। আর বিকেলে মাঠে খেলাধুলো। রাতে পড়াশোনা আর গল্পের আসর। উৎসব-পার্বণেও নিজেদের মতো করে আনন্দে মেতে ওঠে তারা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তা সংস্কার, বাঁকুড়ার ছাতনায় এক মঞ্চে তৃণমূল, বিজেপি-বাম প্রতিনিধি
আরও দেখুন

আশ্রমের চারপাশে থাকা সবুজ গাছপালা, বড় উঠোন আর নিজেদের গড়া বাগানই তাদের আশ্রয়। বহু কষ্টের মধ্যেও এই শিশুরা হাসিখুশি। নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছে তারা। আশ্রম কর্তৃপক্ষের আশা—একদিন সরকারি ও সামাজিক সাহায্যে বদলে যাবে এই অনাথ আশ্রমের চেহারা। আধুনিক পরিকাঠামো যুক্ত নানান সুযোগ সুবিধায় বড় হবে এই ৩৮ জন শিশু।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Medinipur News: স্বাধীনতার আগে তৈরি খাগদা অনাথ আশ্রম! জরাজীর্ণ ভবনে হাসি মুখে ৩৮ অনাথ শিশুর জীবনযাপন, চোখে দিন বদলের আশা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল