তবে আজকের এই নতুন গ্রামের খ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছে গিয়েছে। আজকের এই নতুনগ্রামে একসময় ছিল গভীর জঙ্গল। একদল কাঠুরিয়া কাঠ কাটতে এসে এখানে এই গ্রাম গড়ে তোলেন। নাম হয় নতুনগ্রাম। সেখানে থাকতে শুরু করেন সূত্রধররা। প্রথমে পাথরের মূর্তি গড়লেও পরে তাঁরা এই কাঠের শিল্পকে আপন করে নেন। এই প্রসঙ্গে গ্রামের শিল্পী জয়দেব ভাস্কর বলেন, “প্রথমে এই গ্রামে আগে পাথরের কাজ হত। পরবর্তীতে ঠাকুরের কাজ করতেন সকলে। কিন্তু ঠাকুরের কাজে সেভাবে রোজগার হত না। তাই পেশা বদলে কাঠের কাজের সঙ্গে সকলে নিযুক্ত হয়। যেহেতু বাঙালির ঘরে ঘরে মা লক্ষ্মীর পুজো হয়। সে কারণে পেঁচার চাহিদার কথা মাথায় রেখে শুরু হয় কাঠের পেঁচা তৈরি। কিন্তু এখন পেঁচা ছাড়াও আরও বিভিন্ন জিনিস তৈরি হয়। শিল্পের বাজার এখন ভাল। এখানকার জিনিস আমি অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা সহ আরও বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছি। বিদেশী পর্যটকরাও এখন এখানে ঘুরতে আসছেন।”
advertisement
রথের মেলা, রাসযাত্রা, জয়দেবের মেলা সহ সব মেলাতেই নতুনগ্রামের বিভিন্ন কাঠের পুতুলের চাহিদা বরাবরের। চাহিদা বেড়েছে মঞ্জুষা, বিশ্ববাংলার স্টলে। তবে এখন সোস্যাল মিডিয়ার হাত ধরে বিশ্বজোড়া বাজার পেয়েছে নতুনগ্রাম। রাজ্য দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অর্ডার আসছে অনলাইনে। তবে শীতকালে আলাদা কদর থাকে এই গ্রামের শিল্পীদের। শীতের মরশুমে বিভিন্ন জায়গায় মেলা হয়।
আরও পড়ুন: নীল রাস্তার পর এবার সবুজ! কী দিয়ে তৈরি, কত হল খরচ?
আর সেই মেলাতেই স্টল করার জন্য ডাক আসে এখানকার শিল্পীদের। শিল্পীরা তাঁদের হাতের বিভিন্ন কাজ নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেন মেলায়। শিল্পীরা তাদের কাজেও বিভিন্ন ধরনের নতুনত্ব নিয়ে আসছেন। দিনের পর দিন পরিশ্রম করে নতুন জিনিস তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রামের শিল্পীরা। শীতের মরশুম শুরু হওয়ার আগে জোর কদমে তাঁদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শিল্পীরা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী