TRENDING:

East Bardhaman News: তুলো-সুতোতেই আয়ের দিশা! মহিলাদের হাতে আসছে টাকা, বদলে যাচ্ছে কেতুগ্রামের শতাধিক পরিবারের ভাগ্য

Last Updated:

East Bardhaman News: মহিলাদের স্বনির্ভর হয়ে ওঠার ক্ষেত্রেও বালাপোশ শিল্পের বড় ভূমিকা আছে। বর্তমানে প্রায় সাতটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী এই কাজে যুক্ত, প্রতিটি গোষ্ঠীতে আছেন ১০ থেকে ১২ জন করে মহিলা। সংসারের কাজ সামলে দিব্যি সামলে নিচ্ছেন বালাপোশ তৈরির কাজ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কেতুগ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, বনোয়ারীলাল চৌধুরীঃ শীতের আগমনে কেতুগ্রামের শান্তিনগরে ব্যস্ততা চরমে। ‘বালাপোশের গ্রাম’ নামে পরিচিত এই এলাকা জুড়ে এখন সর্বত্রই কাজের ধুম। শীতের দাপট বাড়তেই বালাপোশের চাহিদা বাড়ছে। সেই সঙ্গে ফিরেছে শিল্পীদের মুখের হাসি। আগেকার দিনের লেপের বদলে আজকাল বালাপোশের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। কারণ লেপের তুলোর মতো শক্ত হয়ে দলা পাকিয়ে যায় না এর ভরাট তুলো।
advertisement

বালাপোশ একদিকে যেমন হালকা, তেমনই তাপ ধরে রাখার ক্ষমতাও বেশি। দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় সাধারণ মানুষের কাছেও তা দারুণ পছন্দের। শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শান্তিনগরের প্রতিটি বাড়িতেই শুরু হয়ে যায় বালাপোশ তৈরির প্রস্তুতি। এই গ্রামের বেশিরভাগ পরিবার বহুদিন ধরেই এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। মহিলাদের স্বনির্ভর হয়ে ওঠার ক্ষেত্রেও বালাপোশ শিল্পের বড় ভূমিকা আছে। বর্তমানে প্রায় সাতটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী এই কাজে যুক্ত, প্রতিটি গোষ্ঠীতে আছেন ১০ থেকে ১২ জন করে মহিলা। সংসারের কাজ সামলে দিব্যি সামলে নিচ্ছেন বালাপোশ তৈরির জটিল কাজ।

advertisement

আরও পড়ুনঃ গাছ লাগালেই বাঁচবে প্রাণ! সীমান্তবর্তী গ্রামে পরিবেশ রক্ষার লড়াই, শামিল হলেন প্রাক্তন বিধায়ক সহ একাধিক বিশিষ্টজন, দেখুন ভিডিও

গ্রামের মহিলা শিল্পী লক্ষ্মী রায় বলেন, “আমাদেরও এখান থেকে রোজগার হয়। আমাদের পুরুষদের কাছে হাত পাততে হয় না। শীতকাল এলেই আমরা এই কাজ করি। কাপড় পেতে, তুলো পিটিয়ে সেলাই করে তারপর বালাপোশ তৈরি হয়। দিনে একজন দু’টো অথবা তিনটে বালাপোশ তৈরি করে পারেন। একটা তৈরি করলে ৯০ টাকা মজুরি পাওয়া যায়।”

advertisement

করোনার সময় কয়েক বছর বিক্রি কিছুটা কমলেও এই বছর আবারও জোর চাহিদা দেখা দিয়েছে। শান্তিনগর থেকে তৈরি হওয়া বালাপোশ মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়া সহ বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিটি শিল্পী প্রতিদিন দু’টি করে বালাপোশ তৈরি করছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও ইতিমধ্যেই গ্রামে শেড করে দেওয়া হয়েছে। শিল্পীদের আশা আগামী দিনে স্বল্প সুদে ঋণ এবং সরাসরি বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা হলে তাঁরা মহাজনের ওপর নির্ভরতা থেকে মুক্ত হতে পারবেন।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
এই স্কুলের কোনও ছাত্রী সেনার উচ্চপদে, কেউ আবার বিজ্ঞানী! ভবিষ্যৎ গড়ার সেরা ঠিকানা
আরও দেখুন

গ্রামের বাসিন্দা নকুল বিশ্বাস বলেন, “গ্রামের প্রায় সবাই এই কাজ করে। শীতকাল এলেই আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। আমাদের তৈরি এই জিনিস বিভিন্ন জেলায় যায়। এই বালাপোশ তৈরির টাকাতেই আমাদের সংসার চলে।” চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিল্পীদের ব্যস্ততাও বেড়েছে। সেই ব্যস্ততার মাঝেই ফুটে উঠছে আত্মনির্ভরতার আলো। এককথায়, শীতের মরশুমে শান্তিনগর আবারও প্রমাণ করল পরিশ্রম ও দক্ষতা থাকলে ছোট গ্রামও বড় শিল্পের কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। গ্রামজুড়ে এখন শুধুই ব্যস্ততা। ব্যস্ততার সঙ্গেই বালাপোশের মাধ্যমে কেতুগ্রামের শান্তিনগরের নাম ছড়িয়ে পড়ছে গোটা রাজ্যে।

advertisement

Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Bardhaman News: তুলো-সুতোতেই আয়ের দিশা! মহিলাদের হাতে আসছে টাকা, বদলে যাচ্ছে কেতুগ্রামের শতাধিক পরিবারের ভাগ্য
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল