প্রতিটি স্টলেই রয়েছে ভরপুর সামগ্রী। নানান আকর্ষণীয় গার্মেন্টস, স্টাইলিশ ব্যাগ, হ্যান্ডমেড জুয়েলারি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য। সব মিলিয়ে, এক ছাদের তলায় ক্রেতারা পাচ্ছেন বহু বৈচিত্র্যময় পণ্যের সম্ভার। উদ্যোক্তা স্মৃতি দেবনাথ জানিয়েছেন, ‘মহিলারা যাঁরা ব্যবসা করেন তাঁরা সেইভাবে বড় জায়গা পান না, তাই পরিচিত বৃদ্ধির জন্য এবং সাধারণ মানুষকে একই ছাদের নিচে নানান জিনিস কেনার সুবিধা করে দিতেই এই উদ্যোগ’।
advertisement
এই উদ্যোগে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছেন স্থানীয় মহিলারা। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ছোটখাটো ব্যবসা চালাচ্ছিলেন কিন্তু সীমিত পরিচিতির কারণে বৃহত্তর বাজারে পৌঁছতে পারছিলেন না, তাঁদের জন্য এই মঞ্চ হয়ে উঠেছে আশীর্বাদস্বরূপ। প্রদর্শনীর মাধ্যমে তাঁদের ব্যবসা একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত হচ্ছে, তেমনি বিক্রিও বাড়ছে। ফলে আর্থিক দিক থেকে তাঁরা ক্রমশ স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্যদিকে ক্রেতারাও খুশি। কারণ কম খরচে তাঁরা পাচ্ছেন গুণমান সম্মত পণ্য। বিশেষ করে বিভিন্ন ব্যাগ, গয়না কিংবা খাদ্যদ্রব্যের প্রতি দর্শনার্থীদের উৎসাহ চোখে পড়ার মত। অনেক ক্রেতাই জানাচ্ছেন, এমন প্রদর্শনী হলে তাঁরা নিয়মিত আসবেন। সুমিত্রা সাহা নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘অনেক জিনিস আছে, ঘুরে দেখলে সবটা বোঝা যাবে। দামও খুব বেশি নেই, এক কথায় পুজোর আগে বেশ ভালই এই উদ্যোগ’।
কালনার এই প্রদর্শনী ঘিরে ইতিমধ্যেই উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছে। প্রতিদিনই মানুষের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠছে অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ। স্থানীয় মহিলাদের এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন শহরবাসী। সমাজে নারীর ক্ষমতায়ন ও তাঁদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে ‘গৌরী এল’ নিঃসন্দেহে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হয়ে উঠেছে।