TRENDING:

ধনতেরাসের সময় বিশাল ডিম্যান্ড! পালিশগ্রামে দিনরাত এক করে চলছে 'এই' জিনিস তৈরির কাজ, উৎসবের মরশুমে হচ্ছে ভাল আয়

Last Updated:

East Bardhaman News: ধনতেরাসের আগে 'এই' জিনিসের প্রচুর চাহিদা থাকে। সেই জন্য পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের পালিশগ্রামে ব্যস্ততা তুঙ্গে। কাজের চাপ বেশি হওয়ায় বেশি মজুরিও মিলছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মঙ্গলকোট, বনোয়ারীলাল চৌধুরীঃ ধনতেরাস মানেই ঘরে ঘরে পরিচ্ছন্নতার প্রস্তুতি। দেবী লক্ষ্মীর আগমনের আগে ঘর ঝকঝকে রাখার প্রচলন প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। তাই এই সময়ে ঝাঁটা ও ঝাড়ুর চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সেই চাহিদা পূরণে এখন ব্যস্ত পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের পালিশগ্রামের ঝাঁটা প্রস্তুতকারকরা।
advertisement

প্রতিবছর ধনতেরাসের আগে ঝাঁটা তৈরির ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। সকাল থেকে রাত অবধি সমানভাবে হাত চলতে থাকে। কারও হাতে বাঁধা হচ্ছে নারকেল কাঠি, কেউ আবার দড়ি পেঁচিয়ে দিচ্ছেন শেষ পর্বের গাঁট। এখন তাঁদের দম ফেলারও সময় নেই।

আরও পড়ুনঃ সুন্দরবনের লক্ষ্মীপুজো কার্নিভাল, জাঁকজমকে কলকাতার দুর্গাপুজো কার্নিভালকে টেক্কা! বাড়ি বসেই দেখুন চোখধাঁধানো শোভাযাত্রা

advertisement

ঝাঁটা প্রস্তুতকারক শেখ আব্দুর সামাদ বলেন, “প্রত্যেক বছর ধনতেরাসের আগে আমাদের তৈরি ঝাঁটার চাহিদা বেড়ে যায়। এখন পালিশগ্রাম থেকে নদিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, হাওড়া সহ বিভিন্ন জেলায় ঝাঁটা যাচ্ছে।” পালিশগ্রামের ঘোষপাড়ায় শেখ আব্দুর সামাদের কারখানায় এখন জোরকদমে ঝাঁটা তৈরির কাজ চলছে। এখানকার ঝাঁটা মূলত নারকেল কাঠি দিয়ে তৈরি হয়। মেদিনীপুর থেকে ট্রাকভর্তি করে সেই কাঠি আসে। তারপর স্থানীয় কারিগররা নানা পদ্ধতিতে সেই কাঠি সাজিয়ে টেকসই ঝাঁটা তৈরি করেন। প্রতিটি ঝাঁটায় মিশে থাকে দক্ষতা, ধৈর্য ও বহু বছরের অভিজ্ঞতা।

advertisement

আরেক ঝাঁটা প্রস্তুতকারক আকাশ মল্লিক জানিয়েছে, “অন্যান্য সময় আমাদের দিনে মজুরি হয় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। কিন্তু এখন ধনতেরাসের জন্য কাজের চাপও বেশি এবং মজুরিও বেশি পাচ্ছি। দিনে প্রায় ১০০০-১২০০ টাকা রোজগার হচ্ছে। ধনতেরাসের জন্য আমরাও খুবই আনন্দিত।”

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দীপাবলির বাজারে দারুণ ডিম্যান্ড! ঘরে বসে 'এই' জিনিস বানিয়েই আয় করছেন দৃষ্টিহীনরা
আরও দেখুন

পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের পালিশগ্রামে তৈরি হওয়া ঝাঁটা শুধু স্থানীয় বাজারেই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যেমন বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এমনকি কলকাতার পাইকারি বাজারেও যাচ্ছে। এই সময়ে অর্ডারের পরিমাণ এতটাই বেশি যে রাত জেগেও কাজ করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে ধনতেরাসের আগে পালিশগ্রামে ঝাঁটা তৈরির এই কর্মচাঞ্চল্য এখন এক অনন্য দৃশ্য। যেখানে ঘাম ঝরিয়ে, দীর্ঘ পরিশ্রমে তৈরি হচ্ছে সরল অথচ প্রয়োজনীয় এক জিনিস।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
ধনতেরাসের সময় বিশাল ডিম্যান্ড! পালিশগ্রামে দিনরাত এক করে চলছে 'এই' জিনিস তৈরির কাজ, উৎসবের মরশুমে হচ্ছে ভাল আয়
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল