অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী ব্যারাকপুরের বাসিন্দা দুলালচন্দ্র দে গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রতারিত হন বলে প্রথমে মোহনপুর থানায় অভিযোগ করেন। পরে মামলাটি ভাতার থানায় স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযোগে দুলালচন্দ্র দে লেখেন, আলিম শেখ পেশার সূত্রে তাঁকে চেনেন বলে জানিয়ে ফোন করেন এবং জানান বাড়ি তৈরী করতে গিয়ে খননকার্যের সময় মাটিরতলা থেকে তারা একটি মোহর ভর্তি কলসি পেয়েছেন।কলসিতে প্রায় ৫১৫ টি মতো প্রাচীন সোনার মোহর আছে। যা তারা বিক্রি করতে চান।
advertisement
আরও পড়ুন: বীরভূমে গোপন অভিযান পুলিশের, খোঁজ ‘নকল নম্বর প্লেট তৈরির কারখানা’র! মেশিন, হার্ডডিস্ক-সহ ধৃত যুবক
এরপর তারা তাঁকে একটি জঙ্গল এলাকায় ডেকে পাঠান এবং তাকে একটি আসল সোনার কয়েন দেখায়। এমনকি একটি কয়েন কিছুটা অংশও তাঁকে দেওয়া হয় পরীক্ষার জন্য। এরপর পরীক্ষা করে সেটি সোনার বলে নিশ্চিত হতেই তিনি ৩০০ টি সোনার মোহর কিনবেন বলে জানালে প্রতিটি মোহরের জন্য তারা ৫০০০ টাকা করে দাবী করেন। সেই মতো ৩০০টি কয়েন তার হাতে তুলে দেয় প্রতারকরা এবং তার বদলে তিনি ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন। পরে বাড়িতে ফিরে কয়েনগুলি পরীক্ষা করে তিনি বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন ফলে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতে ভাতার থানার পুলিশ আলিম শেখকে গ্রেফতার করে এবং বর্ধমান আদালতে পেশ করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে ঝাড়খণ্ডের এক ব্যক্তিকেও একই কায়দায় প্রতারণার অভিযোগে আলিমকে গ্রেফতার করেছিল আউশগ্রাম থানার পুলিশ। বর্তমানে সে জামিনে মুক্ত থাকাকালীন আবারও একই কায়দায় প্রতারণা করে বলে অভিযোগ। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অনান্যদেরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।






